Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

দুই কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা সলঙ্গার ফজলুল হক সিরাজগঞ্জ

দুই কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা সলঙ্গার ফজলুল হক

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পার্ক করার নামে অভিনব কৌশলে বিভিন্ন জনের প্রায় দুই কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছে এক প্রতারক ব্যবসায়ী। সলঙ্গা থানার অভিজাত পাঁচিলা এলাকায় আলিশান ফ্লাটে দিনের পর দিন প্রতারণা করে আসছে। প্রতারকের নাম মোঃ ফজলুল হক। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের সলংগা থানায়। বাবার নাম মৃত নজরুল ইসলাম।

ফজলুল হকের বিরুদ্ধে তাড়াশ থানায় ২০১৯ সালে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হলেও প্রশাসন কে ক্ষমতার বলে অভিযোগটি ধামাচাপা দেওয়া হয় পরবর্তীতে টাকা দেওয়ার আশ্বাসে বিভিন্ন তারিখ ও সময় চাওয়া হয় অদ্যাবদি পর্যন্ত ঋণের টাকা পরিশোধ করা হয়নি। টাকা না পাওয়ায় গত-১৯/০২/২০২৩ ইং তারিখে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আবারও একটি লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মোঃ জামাল উদ্দিন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, উপরোক্ত আসামী মোঃ জামাল উদ্দিন ও তার বড় ভায়রা মোঃ দিদার হোসেন এর নিকট থেকে চুক্তিপত্র অনুযায়ী তাড়াশে একটি পার্ক করার উদ্দেশ্যে নগদ ১,২২,০০০০০ (এক কোটি বাইশ লক্ষ) টাকা নেয় এছাড়াও পঞ্চাশ লক্ষ টাকার স্ট্যাম করে দেওয়ার কথা বলে নিয়েছে আজও স্ট্যাম্প দেয়নি। টাকা নেওয়ার পর থেকে তারা যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় বাড়ীতে গিয়ে টাকা ফেরৎ চাইলে উপরোক্ত আসামী কোন টাকা ফেরৎ প্রদান করিবে না বলে বিভিন্ন ধরণের ভয়-ভীতি, মিথ্যা মামলাসহ খুন ও জখমের হুমকী প্রদর্শন করেন।

এদিকে প্রতারক মোঃ ফজলুল হকের মুফোফোনে একাধিক নম্বর দিয়ে বারবার যোগাযোগ করা চেস্টা করা হলেও ফোন রিসিভ করেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফজলুক হকের এক  নিকট আত্মীয় বলেন, ফজলুল হক বিভিন্ন জনের কাছে থেকে অভিনব কৌশলে প্রতারণা করে আসছে তার বিরুদ্ধে থানায় বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে কৌশলে ও আইনের ফাঁকফোকরে দাপটের সঙ্গে ঘুরে বেড়ায় অনেকেই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সাহস পায়না।

সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মোঃ আরিফুর রহমান মন্ডল, বিপিএম (বার, পিপিএম(বার), দৈনিক বিজনেস ফাইল কে বলেন, মোঃ ফজলুল হকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।