Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

বঙ্গবন্ধু ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর গভীর শ্রদ্ধা জাতীয়

বঙ্গবন্ধু ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর গভীর শ্রদ্ধা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এবং ধানমন্ডিতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী প্রথমে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

শেখ হাসিনা এখানে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কুশল বিনিময় করেন। এরপর তিনি রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে স্বাধীনতার মহান স্থপতির প্রতি সম্মান জানান। 

৫১ বছর আগে এই দিনে দেশের স্বাধীনতার চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের স্থানীয় সহযোগী রাজাকার, আলবদর এবং আল-শামসদের সহায়তায় দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।

অধ্যাপক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, শিল্পী, প্রকৌশলী ও লেখকসহ মাটির দুই শতাধিক কৃতি সন্তানকে ১৯৭১ সালের ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বর চোখ বেঁধে নিজ নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়।

প্রথমে তাদের চোখ বেঁধে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, নাখালপাড়া, রাজারবাগসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে টর্চার সেলে নিয়ে যাওয়া হয়।

পরে নতুন উদীয়মান বাংলাদেশকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পঙ্গু করার জন্য তাদের বিভিন্ন স্থানে বিশেষকরে রায়েরবাজার এবং মিরপুরে গণহত্যা করা হয়।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর যারা খুনিদের রোষানলে পড়েন তাদের মধ্যে ছিলেন ডা. আলিম চৌধুরী ও ডা. ফজলে রাব্বি, সাংবাদিক শহীদুল্লাহ কায়সার, সাংবাদিক সিরাজুদ্দিন হোসেন, নিজামউদ্দিন আহমেদ, এস এ মান্নান ও সেলিনা পারভীন এবং সাহিত্যিক মুনীর চৌধুরী। এরপর থেকে দিনটি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।