কুমিল্লায় দূরপাল্লার এসি বাসে প্লাস্টিকের ঝুড়িতে করে পাচার করার সময় ‘মহাবিপন্ন’ প্রজাতির একটি উল্লুক উদ্ধার করা হয়েছে। এ অপরাধে মো. জুয়েল রহমান ওরফে সোহেল নামে এক যুবককে আটক ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
 
কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ এ অভিযান পরিচালনা করে। আটক সোহেল খুলনার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের হাফিজনগর এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে। উদ্ধারকৃত উল্লুকটি কুমিল্লা সামাজিক বন বিভাগে হস্তান্তর করা হলে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এম. তানভীর আহমেদ ও বন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
 
জানা যায়, বিরল প্রজাতির একটি উল্লুক পাচার করা হচ্ছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লা ডিবি পুলিশের একটি দল রোববার গভীর রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়াবাজার এলাকায় পাহারা বসায়। এসময় কক্সবাজার থেকে খুলনাগামী একটি এসিবাসে তল্লাশি করে উল্লুকটি উদ্ধার সহ মো. জুয়েল রহমান ওরফে সোহেলকে (২৭) আটক করা হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ডিবি’র ওসি রাজেশ বড়ুয়া জানান, আটক মো. জুয়েল রহমান ওরফে সোহেল বাজারের ব্যাগ দিয়ে মোড়ানো প্লাস্টিকের ঝুড়িতে করে উল্লুকটি নিয়ে যাচ্ছিলেন।  জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল বলেছেন, তিনি পার্বত্য জেলা বান্দরবান থেকে বিরল প্রজাতির উল্লুকটি সংগ্রহ করে খুলনা-সাতক্ষীরা সীমান্ত হয়ে ভারতে পাচার করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন। 

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অতীশ সরকার সোমবার দুপুরে আটক যুবককে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। এদিন উল্লুকটি কুমিল্লা সামাজিক বন বিভাগের কর্মকর্তাদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

কুমিল্লা সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জানান, ডিবি পুলিশের কাছ থেকে উল্লুকটি গ্রহণ করেছি। মঙ্গলবার এটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। উল্লুক বাংলাদেশে মহাবিপন্ন একটি প্রাণী। বাংলাদেশের রাঙামাটি, বান্দরবান ও মৌলভীবাজারের লাউয়া ছড়া পাহাড়ি এলাকায় এখনো কিছু উল্লুকের দেখা মেলে।