Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

লক্ষ্যের পথে অবিচল থেকেই এগিয়ে যেতে চান শ্রাবনী সায়ন্তনী বিনোদন

লক্ষ্যের পথে অবিচল থেকেই এগিয়ে যেতে চান শ্রাবনী সায়ন্তনী

ফয়সাল হাবিব সানি : ২০১৭ সালে ‘চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ সিজন সিক্স’ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে নিজেকে সংগীতশিল্পী হিসেবে নতুনভাবে মেলে ধরেন শ্রাবনী সায়ন্তনী। তারপর নিজের স্বপ্ন আঁকড়ে ধরে তিনি যেন শুধুই বুনে গিয়েছেন তার জীবনে সাফল্যের নকশি কাঁথা। খুব ছোটবেলা থেকেই সংগীতশিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সুপ্ত বাসনা ও আকাঙ্খা কাজ করলেও নিজের জীবনের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রাখা তার সেই স্বপ্নটাই যে একদিন সত্যে পরিণত হবে তা কখনো কল্পনাও করেননি তিনি। 

শ্রাবনী সায়ন্তনী বর্তমানে সংগীত বিষয়ে পড়াশুনা করছেন ভারতের শান্তিনিকেতনে অবস্থিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। শুধু বাংলাদেশ নয়; উপরন্তু, ওপার বাংলার বাংলা ভাষাভাষী মানুষের নিকটও কাঙ্খিত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে তার গাওয়া গানগুলো। ‘চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ -২০১৭’ প্রতিযোগিতায় গাওয়া ‘দিনে দিনে’ গানটিকেই নিজের সংগীত ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট মনে করেন সুরেলা কণ্ঠের এই সংগীতশিল্পী৷ ২০১৮ সালে তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘বৈশাখ এলোরে’ প্রকাশ পেলে তিনি আবারও লাইমলাইটে আসতে সমর্থ হন। পরবর্তীতে তার গাওয়া ‘সোনাবন্ধু’ গানটি ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। এছাড়াও, ‘চান্দের আলো’, ভুল ঠিকানায়' প্রভৃতি দর্শকনন্দিত গান দিয়ে তিনি সংগীত ভুবনে স্বপ্রতিভায় ও আপন ঔজ্জ্বল্যে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। বলতে গেলে, সংগীতকে ভালোবেসে জীবনের বাকিটা পথচলা সংগীতেই সঁপে দিতে চান আলোকিত এই কণ্ঠশিল্পী। 

অন্যদিকে, নিজের পথচলা এবং সফলতার গল্প জানাতে গিয়ে তিনি টাইমটাচনিউজকে জানান, ‘আমি আমার জীবনে যতটা পথ অতিক্রম করেছি, তা মূলত আমার মা আর বাবার জন্যই। আমার মা-বাবা ছায়ার মতো অকৃত্রিম মায়া হয়ে আমার পাশে না থাকলে হয়তো জগতের অমোঘ নিয়মে সময়ের অতল গর্ভে আমিও হারিয়ে যেতাম! কিন্তু আমি নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে পারিনি; বরং আগামীতে দর্শকদের জন্য আরও ভালো কিছু উপহার নিয়েই তাদের সামনে হাজির হবার প্রচেষ্টায় উন্মুখ হয়ে আছি। আমি আমার সংগীত ক্যারিয়ারে শ্রদ্ধেয় লতা মঙ্গেশকর, শ্রদ্ধেয় রুনা লায়লা, শ্রদ্ধেয় সাবিনা ইয়াসমিনকে আমার সংগীত জগতের আইডল মনে করে থাকি। খুব অল্প বয়স থেকেই আমি তাদের গানের পাগল ভক্ত৷ তাদের গান শুনে শুনেই আমার বেড়ে ওঠা আর আজকের এই অবস্থানে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। তবে আমি মনে করি, আরও অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে আমাকে; জীবনের এই কণ্টকাকীর্ণ পথে আমার পথযাত্রা সবেমাত্র শুরু। সকলে আমার গানকে এবং আমাকে ভালোবেসেছেন; প্রত্যাশা করি অদূর ভবিষ্যতেও এভাবেই আপনারা আমাকে ভালোবাসবেন এবং আমার সৃষ্টি দিয়েই আপনাদের হৃদয়ের কোনো এক নিভৃত কোণে আমি আসন পেতে নেবো।’ 

এইটাই ধ্রুব সত্য যে, মানুষ কখনো কখনো হয়তোবা তার স্বপ্নের থেকেও বড়ো। আর সেই স্বপ্নের পথের একজন সারথি শ্রাবনী সায়ন্তনী। তাইতো লক্ষ্যের পথে অবিচল থেকেই সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে স্বপ্নের সোনালি রোদ্দুরের আভায় নিজের জীবনকে রঙিন সুতোয় বাঁধার জন্যই জীবনব্যাপী মত্ত থাকতে চান তিনি।