Opu Hasnat

আজ ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার ২০২৪,

পুলিশের প্রহারে শ্রমিক নিহতের ঘটনায় মামলা মাগুরা

পুলিশের প্রহারে শ্রমিক নিহতের ঘটনায় মামলা

মাগুরার শ্রীপুরের ওয়াপদা বাসস্ট্যান্ডে পুলিশের মারপিটে সালাম শেখ (৫০) নামে স্থানীয় বাস কাউন্টারকর্মীর মৃত্যুর অভিযোগে ফাঁড়ি ইনচার্জ, ৩ পুলিশ সদস্যসহ ৫ জনকে আসামী করে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার দুপুরে বাস কাউন্টারকর্মী মৃত সালাম শেখের স্ত্রী যমুনা বেগম বাদী হয়ে মাগুরার বিজ্ঞ শ্রীপুর আমলী আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। নিহত আব্দুস সালাম মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার রায়নগর গ্রামের মৃত আছির উদ্দিনের ছেলে।

মামলার আসামীরা হচ্ছেন, নাকোল পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ পুলিশের উপ-পরিদর্শক জামাল হোসেন, নাকোল পুলিশ ফাঁড়ির এ,এস,আই জসিম, এ,এস,আই ভবেন, পুলিশ ভ্যান ড্রাইভার নাজমুল ও রাশেদুল।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, শনিবার বিকেল ৪টার দিকে ওয়াপদা বাস স্ট্যান্ডের নুপুর পরিবহনের টিকেট কাউন্টারে বাসের টিকেট কেনাবেচা নিয়ে শ্রীপুরের চৌগাচি গ্রামের রাশেদুল নামে এক যাত্রীর সাথে কাউন্টারকর্মী সালাম শেখের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় রাশেদুল মোবাইল ফোনে নাকোল পুলিশ ফাঁড়িতে বিষয়টি জানালে নাকোল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক জামাল হোসেন পুলিশের একটি দল নিয়ে সেখানে আসেন। জামাল হোসেন সেখানে এসে সালাম শেখকে বুকে লাথি মেরে মাঠিতে ফেলে দেয়। এসময় সব আসামীরা সালাম শেখের শরীরের আঘাত করে। এছাড়া আসামীরা মারধর করতে করতে সালাম শেখকে পুলিশ ভ্যানে ওঠিয়ে ফাঁড়িতে নিয়ে যান। ফাঁড়িতে নিয়ে সালাম শেখকে আবার মারধর করা হলে সে মারা যায়। 

আদালতের বিজ্ঞ বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায় বাদীর বক্তব্য শুনে মামলাটি শ্রীপুর থানায় এজহার হিসেবে নথিভুক্ত করার পাশাপাশি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেন (পিবিআই) কে মামলা তদন্তের নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত উপ-পরিদর্শক জামাল হোসেনকে শনিবার সন্ধ্যায় ফাঁড়ি থেকে মাগুরা পুলিশ লাইনস এ ক্লোজড করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনা তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (ক্রাইম) মোহাম্মদ করিমুল্লাহকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।