বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ চট্টগ্রাম / 
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ৯ কর্মীসহ মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
রোববার (৫ জুন) বিকেলে জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ডিপোতে বিস্ফোরণে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৯ জন মারা গেছেন। এছাড়াও চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে ১৮২ জন ভর্তি আছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় গুরুতর আহতাবস্থায় ১২ জনকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। এছাড়া ১০০ জনের বেশি লোক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।’
ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান জানান, এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট কাজ করছে। রোববার (৫ জুন) সকালেও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি, আগুন নেভাতে সমস্যা হচ্ছে। ডিপোতে বিপুল পরিমাণ ‘হাইড্রোজেন পার অক্সাইড’ দাহ্য রাসায়নিক রয়েছে।
এদিকে, চমেক হাসপাতাল বার্ন ইউনিটে ৫২ জন এবং অর্থোপেডিক বিভাগে ১০ ভর্তি রয়েছে। চমেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ বলেন, ৫২ জন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে। তাদের বেশিরভাগেরই শ্বাসনালী পোড়া। তাদের বাঁচাতে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।
মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চকবাজার জোনের সহকারী (এসি) কমিশনার শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন, পাঁচলাইশ থানা পুলিশ মরদেহের সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) মর্গে পাঠাচ্ছে। সেখানে মরদেহ শনাক্তের জন্য ডিএনএ সংগ্রহ করা হবে। যাদের স্বজন নিখোঁজ রয়েছেন তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, শনিবার (৪ জুন) রাত ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করার সময় রাসায়নিক থাকা একটি কনটেইনারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।
ওই রাতেই আহতদের অধিকাংশকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এছাড়া চট্টগ্রামের অন্যান্য হাসপাতালেও অনেককে ভর্তি করা হয়।