Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

সৈয়দপুরে জাল দলিলের অভিযোগে কাউন্সিলরসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা নীলফামারী

সৈয়দপুরে জাল দলিলের অভিযোগে কাউন্সিলরসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সৈয়দপুরে জাল দলিল করে জমি বিক্রির অভিযোগে কাউন্সিলরসহ ০৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। আরশেদ আলো গং বাদি হয়ে ৩ মে ওই মামলা দায়ের করেন। 

জানা যায়, শহরের কয়া মৌজায় ৫২ শতক জমির ওয়ারিশ সুত্রে মালিক আরশেদ আলো গং। ওই জমির মালিকানা নিয়ে বর্তমানে মহামান্য আদালত নীলফামারীতে মামলা চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে ওই জমির জাল দলিল করে বাঁশবাড়ী এলাকার হাসানের ছেলে আসলাম ও রসুলপুর এলাকার মৃত নাসির উদ্দিনের ছেলে সাবির। তারা জাল দলিল করে ওই জমি বিক্রি করেন চাঁদনগর এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মনজুর মোরশেদ ও আব্দুল্লাহ আল- মামুন ওরফে সাকিলের কাছে। আদালতে মামলা চলাকালীন অবস্থায় জাল দলিল করে জমি বিক্রির বিষয়টি এলাকার লোকজনকে ভাবিয়া তুলেছে। জাল দলিল তৈরী করেন সৈয়দপুর কয়া গোলাহাট এলাকার দলিল লেখক ওবাইদুল করিম সরকার। জাল দলিল দিয়ে জমি বিক্রির ভুয়া কাগজে সাক্ষী দেন রশিদ উদ্দিন জাহিদ, আতিশ, এস.এম শহিদুল ইসলাম, মোক্তার হোসেন। ওই জমির মালিক অংশীদার কোনটাই নয় এমন একজনকে জমির ওয়ারিশ সাজিয়ে প্রত্যায়ন পত্র দেন কাউন্সিলর জোবাইদুল ইসলাম মিন্টু। আর এ কারণে তিনিও মামলার আসামী হন। বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন। 

এদিকে, ওই জমির জাল দলিল, তৈরী, একজনের জাতীয় পরিচয় পত্রে অন্যজনের ছবি লাগিয়ে বানানো হয় সাক্ষী। 

এ বিষয়ে মামলার বাদি আরশেদ আলো জানান, ওই জমির মালিকানা নিয়ে ২০২১ সালে আমি যুগ্ন জেলা জজ আদালত নীলফামারীতে মামলা দায়ের করি। ওই মামলাটি আদালতে বিচারধীন রয়েছে। আদালতে মামলা চলাকালীন অবস্থায় বিবাদী পক্ষ এরই মধ্যে জাল দলিল তৈরী করে জমি বিক্রি করেন। তবে জমি বিক্রি হলেও ক্রেতা জমির দখল নিতে পারেন নি। ফলে ওই জমি ফাঁকা পড়ে আছে। তিনি বলেন একজন কাউন্সিলর সত্য মিথ্যা না জেনে হঠাৎ এক ব্যক্তিকে অন্যের জমির ওয়ারিশ সাজিয়ে প্রত্যায়ন পত্র দিলেন। এটিও রহস্যজনক। তাই আমি তাকেও মামলার আসামী করেছি।