Opu Hasnat

আজ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার ২০২৪,

বড়াইগ্রামে বাস-ট্রাকের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ৭, আহত ৫০ নাটোর

বড়াইগ্রামে বাস-ট্রাকের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ৭, আহত ৫০

নাটোরের বড়াইগ্রামে দুটি বাস ও ১টি ট্রাকের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ৭ জন নিহত ও কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছে। শনিবার (৭ মে) সকাল সোয়া ১১টার দিকে বনপাড়া-ঢাকা মহাসড়কের বনপাড়া গাজী অটো রাইস মিলের সামনে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ন্যাশনাল ট্রাভেলস ও নাটোর থেকে ঢাকাগামী সিয়াম পরিবহন এবং সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের সংঘর্ষ ঘটলে দুই বাস পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৬ জন ও পরে হাসপাতালে আরও ১ নারী নিহত হয়। আহত হয় কমপক্ষে ৫০ জন।

খবর পেয়ে বনপাড়া ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠায় ও নিহতদের উদ্ধার করে।

বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, নিহতদের মধ্যে সিয়াম পরিবহনের যাত্রী ২ জন। তারা হলেন, নাটোরের হরিশপুর পাইকরদোল গ্রামের শাজাহান হোসেনের দুই সন্তান সাদিয়া (১২) ও কাউসার (১৮)। তাদের মা ওই বাসেই ছিলেন এবং অক্ষত আছেন। বাকী ৫ জন ন্যাশনাল ট্রাভেলস এর যাত্রী। তাদের মধ্যে ৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, নাটোর সরকারী এন.এস কলেজের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমান (৪৫), লালপুর ওয়ালিয়ার রুহুল আমীনের স্ত্রী মোহনা আক্তার মিলি (২৬), হরিশপুর পাইকরদোলের আলমগীর হোসেন (৪৮), মাগুরার মিজানুর রহমান (৩০) এবং অজ্ঞাত (৬০)।

ওসি আরও জানান, অজ্ঞাত ব্যক্তিকে সনাক্ত করতে সিআইডি’র হন্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে।

নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, বগুড়া হাইওয়ে পুলিশ সুপার মুন্সি শাহাবুদ্দিন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং আহতদের খোঁজ-খবর নেন।

জেলা প্রশাসক নিহত প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ২৫ হাজার টাকা প্রদানের ঘোষণা দেন।

এছাড়া দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা খাতুনকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং ২ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।