Opu Hasnat

আজ ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার ২০২৪,

সৈয়দপুরে আলুর ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি কৃষি সংবাদনীলফামারী

সৈয়দপুরে আলুর ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি

নীলফামারীর সৈয়দপুরে আলুর দাম বাড়তে শুরু করেছে। ক্ষেত থেকে পাইকাররা ১৫/১৬ টাকা কেজি দরে আলু কিনছেন। ফলে আলু চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। অপরদিকে স্থানীয় তিনটি হিমাগার কৃষকদের আলু নিতে অপাাগতা প্রকাশ করায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।

উপজেলার কামারপুকুর, কাশিরাম বেলপুকুর, খাতামধুপুর, বাঙালিপুর ও বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ জমিতে আলুর আবাদ করেন কৃষকরা। বাঙালিপুরের কৃষক মতিয়ার রহমান জানান, তিনি প্রায় ৮ বিঘা জমিতে ইষ্টিক জাতের আলু চাষ করেন। তিনি জানান, ৬০ শতাংশের এক বিঘা জমিতে আলু চাষ করতে প্রায় ৪৮ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। এর মধ্যে জমি চাষ, আলু বীজ, সার, শ্রমিকের মজুরি, কীটনাশক, নিড়ানি, পানি সেচ রয়েছে। ৬০ শতকের জমিতে আলু পেয়েছেন ১২০ মণ। সেই হিসাবে আট বিঘা জমিতে এক হাজার মনের বেশি আলু পেয়েছেন। বর্তমান বাজারে প্রতিবিঘা আলুর দাম ৭২ হাজার টাকা। সে হিসেবে সব খরচ বাদে ২৪ হাজার টাকা লাভ হবে বিঘাপ্রতি।

উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের গোলজার হোসেন জানান, অসময়ের বৃষ্টিতে তাঁর আলুখেত তিন দিন ডুবে ছিল। এ সময় বাজারে আলুর কেজি ৪-৫ টাকা থাকায় নিশ্চিত লোকসানের আশঙ্কায় খেতের পরিচর্যা করেননি। কিন্তু এখন খেত থেকে আলু তুলতে গিয়ে বাম্পার ফলন দেখে হতবাক হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, গেল বছর ৬৮ কেজি বস্তার আলু হিমাগারের ভাড়া ছিল ২৫০ টাকা। এবছরও ভাড়া নির্ধারণ করা হয় ২৫০ টাকা। তবে ওজন কমে করা হয়েছে ৫৮ কেজি। এছাড়া স্থানীয় হিমাগারগুলো স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে আলু নিচ্ছেন না। হিমাগারে আলু রাখতে না পেরে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহিনা বেগম বলেন, ‘এবার বৃষ্টির কারণে আলু চাষাবাদ কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। তবে আলুখেতে জমে থাকা পানি বের করার ব্যবস্থা করা এবং খেতের পানি না শুকানো পর্যন্ত আলু উত্তোলন করা থেকে বিরত থাকতে চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে বাজারে আলুর দাম বাড়ায় লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।