কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে নারীদের
বরই চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছেন রাজবাড়ীর কৃষক কৃষি সংবাদ /  রাজবাড়ী / 
আবহাওয়া অনুকুলে থাকা ও কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় রাজবাড়ীতে এ বছর কুল বরই এর বাম্পার ফলন হয়েছে। বরই চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছেন রাজবাড়ীর বহু কৃষক এছাড়াও বাড়তি কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে নারীদের। আগামীতে বরই চাষ আরো বাড়বে বলে আশা করছেন কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর।
কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের তথ্যমতে, রাজবাড়ী জেলায় এ বছর ২৫০ হেক্টর জমিতে কুল জাতীয় বরই চাষ হয়েছে। বতর্মানে ৪০ টাকা কেজি দরে মোট ১৬’শ টাকা মন হিসেবে এসব বরই বিক্রি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের উদয়পুর গ্রামে গিয়ে দেখাযায়, সেখানে মাঠের পর মাঠ শুধু বরই চাষ হয়েছে। এই মুহুর্তে বরই তোলার কাজে ব্যস্ত প্রতিটি চাষী।
এ সময় উদয়পুর গ্রামের কৃষক ইদ্রিস আলী বলেন, আমি এ বছর ৪৫ শতাংশ জমিতে আপেল কুল, বল সুন্দরী ও কুল জাতীয় বরই চাষ করেছেন এতে তার খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। আর বরই বিক্রি করেছি দেড় লক্ষ টাকার। লাভ হবে অন্তত পাচগুন।
একই এলাকার কৃষক গোলাম মওলা বলেন, কুল জাতীয় বরই একবার চাষ করলে অন্তত ৬ বছর ফল পাওয়া যায়। যে কারনে লাভ বেশি। তাছাড়া বিক্রিতেও তেমন কোন ঝামেলা নেই, ব্যবসায়ীরা বাগান থেকেই কিনে নিচ্ছে বরই। রয়েছে কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতাও।
এদিকে বরই তোলা মৌসুমকে কেন্দ্র করে চাহিদা বেরেছে নারী শ্রমিকদের। প্রতিটি বাগানেই ১০ থেকে ১৫ জন নারী শ্রমিক কাজ করছে। এতে তাদের কর্মসংস্থানের তৈরি হয়েছে। পুরুষের পাশাপাশি আয় করে সংসারের কাজে সহযোগিতা করতে পারছেন তারা।
বরই তোলার কাজের নারী শ্রমিক আলেয়া বেগম বলেন, এখন সংসারের কাজ করে সকাল ৮ থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত বরই তুলি। এতে ২০০ টাকা বেতন পাই। এই টাকা দিয়ে স্বামী ও সন্তানকে সহযোগিতা করতে পারছি।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ বাহাউদ্দিন শেক বলেন, রাজবাড়ীর মাটি কুল চাষের উপযোগি যেকারনে কুল বরই চাষে সাফল্য পেয়েছে চাষীরা। বেশি লাভ হওয়ায় কুল চাষে কৃষকদের প্রনোদনা ও প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া সব সময় কৃষকদের খোজ রাখছেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। রাজবাড়ীতে আপেল কুল, বল সুন্দরী ও কুল এই তিন ধরনের কুল বরই বেশি আবাদ হয়। আাগামীতে এই চাষ আরো বাড়বে বলে জানান তিনি।