Opu Hasnat

আজ ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার ২০২৪,

ছাতকে সরিষার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি! কৃষি সংবাদসুনামগঞ্জ

ছাতকে সরিষার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি!

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার দক্ষিন খুরমা ইউনিয়নের পরশপুর গ্রামের উত্তÍরে গানুউরা নদীর তীরে গেলেই চোখে পড়বে হলুদের গালিচায় ভরা মাঠঘাট। ফসলের খেত থেকে আকাশ পানে উঁকি মারছে হলুদ বরণ সরিষার ফুল। প্রকৃতির নির্মল বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে সরিষা ফুলের মাতাল করা ঘ্রাণ। সেই ঘ্রাণ আন্দোলিত করছে কৃষকের মনও। নয়নাভিরাম সরিষা ক্ষেতে তারা স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন।

জানা যায়, সবজি হিসেবে খাওয়ার পাশাপাশি মশলা হিসেবে ব্যবহার হয় সরিষা। তবে শীতকালীন ফসল সরিষার ব্যবহার প্রধানত ভোজ্য তেল হিসেবে। গবাদি পশুর খাদ্য ও জমির সার হিসেবেও ব্যবহার হয় সরিষার খৈল। বহুবিধ ব্যবহার সুবিধার এই শস্য সরিষার আবাদে খরচ হয় নামমাত্র। আবহাওয়া ভাল থাকলে ফলনও বাম্পার হয়। বাজারে তুললে ভাল দামও পাওয়া যায়। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ছাতক কার্যালয় এর সহযোগীতায় গত বছরের ১২ নবেম্ভর ২০২১ সালে ৬০ শতক জমিতে বিনা ৪ জাতের সরিষার আবাদ করেন সানাউল হক সাজু তালুকদার। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার সরিষায় বাম্পার ফলন হয়েছে। রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণও কম।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ছাতক কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, এ জাতের সুরিষা আবাদে দোয়াস মাটি ও অনুকুল আবহাওয়া উপযোগী। বিনা সরিষা ৪ প্রতি একর জমিতে ১২০০ কেজি থেকে ১৪ কেজি পর্যন্ত ফলন হয়। ৯০ থেকে ৯৫ দিনে ফসল ঘরে তুলা যায়। সরিষা কেটে ওই জমিতে আবার ধানের আবাদ করা যায়। তরুন উদ্যোক্তা সানাউল হক সাজু তালুকদার বলেন, তেলসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে সেসব রাষায়নিক ব্যবহার করা হয়, কৃষিতে যেসব কীটনাশক ব্যবহার করা হয় যা খাবারকে বিষাক্ত করে তুলছে। আমার এই জমিতে ধানের ফসল কম হচ্ছিল। এই মাটি সরিষা আবাদের জন্য উপযোগী। তাই সরিষা আবাদ করেছি। এতে পিয়র তেল পাবো যা আমার পরিবারের চাহিদা পুরন করে অন্তত ২০ হাজার টাকার সরিষার বিক্রি করতে পারবো।

এ ব্যাপারে ছাতক উপজেলা উপ সহকারী কৃষি র্কমর্কতা মো. নাসির উদ্দিন জানান, বাছাইকৃত ২জন কৃষককে উন্নত জাত বীজ ও প্রদান করায় সরিষা আবাদে কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, সরিষা আবাদে সময় ও সেচের প্রয়োজন কম। আবার বীজের কোনো সমস্যা হয় না। সব মিলিয়ে কম খরচে বেশি লাভের জন্য সরিষা এখন সেরা ফসল।