Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

সৈয়দপুরে মন্ত্রী ও পৌর মেয়র টক অব দ্যা টাউন, ফেসবুকে ভিডিও ভাইরাল নীলফামারী

সৈয়দপুরে মন্ত্রী ও পৌর মেয়র টক অব দ্যা টাউন, ফেসবুকে ভিডিও ভাইরাল

সৈয়দপুরে ৬২বছরের ইতিহাসে এই প্রথম নারী মেয়র নির্বাচিত হন। নীলফামারী জেলার প্রথম শ্রেণির সৈয়দপুর পৌরসভা বৃটিশ আমল থেকেই অনান্য জেলা শহর থেকে ভিন্ন এবং মান উন্নয়নে এগিয়ে রয়েছে। বর্তমানে শহরটি দেশের অস্টম বাণিজ্য শহর হিসেবে খ্যাত। এখানে বরাবরই শান্তি এবং সম্প্রীতি বজায় থাকে। রয়েছে আটটি ভাষাভাষির মানুষের বসবাস। সারাদেশ হতে সড়ক, রেল এবং আকাশ পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত উন্নত। প্রতিদিন প্রটোকল মেইটেন্ট করার জন্য সৈয়দপুরে স্বতন্ত্র্যঅফিস এবং কর্মকর্তা না থাকাতে এখানকার দলীয় নেতাকর্মী এবং সরকারী কর্মকর্তাদের হিমশিম খেতে হয় এসব প্রটোকল মেইনটেন করতে। এতে করে উচ্চ পর্যায়ের নেতা এবং আমলাদের পদাধিকার বলে ওজন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। গণতন্ত্র তখন তাঁরা দাঁড়িপাল্লায় মাপা শুরু করে দেন। এমনটি বলছেন এখানকার জনরসাধারণ। এমন ওজনের ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার (২২ অক্টোবর) সৈয়দপুর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে। যা সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে সৈয়দপুরের জনগণের মুখে টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে। কেউ কেউ ফেসবুকে নিজের স্ট্যাটাসে লিখছেন অযোগ্য, অদক্ষ পৌর মেয়র। আবার কেউ কেউ লিখছেন পৌরসভার ইতিহাসে লজ্জাজনক খবর যা কখনও ঘটেনি। আবার কেউ কেউ মন্ত্রী মহোদয়কে গালাগালি করছেন। আবার কেউ কেউ স্ট্যাটাসে লিখছেন মন্ত্রীকে বাঘ এবং মেয়রকে নেরি কুত্তা। আবার কেউ কেউ লিখছেন মন্ত্রীর বউ পিটানোর অভ্যেস থাকাতে তিনি মেয়রের গায়ে ধাক্কা দিলেন। আবার কেউ কেউ লিখছেন মেয়র এবং মন্ত্রী মিলে সৈয়দপুরবাসীর সন্মান ধূলিসাৎ করলেন। আবার কেউ কেউ লিখছেন মন্ত্রী এবং মেয়র মিলে আমাদের উন্নয়নে ধুসর কালিমা লিপ্ত করে গেলেন।

উল্লেখ্য, ২২অক্টোবর ছিলনতুন নির্মিত সৈয়দপুর কমিউনিটি সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এতে সভাপতিত্ব করেন সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ, নীলফামারী-৪ আসনের সাংসদ আহসান আদেলুর রহমান, নীলফামারী জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান ও পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান। কিন্তু বিধিবাম! যখন সময় হল প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলামের বক্তব্য প্রদাণ করার। ঠিক তখন থেকেই শুরু হল ফিসফিস কথা বলার শব্দ। এ শব্দগুলি মন্ত্রীর কানে এসে পৌঁছায়। মন্ত্রী বক্তব্য প্রদাণ অবস্থায় পিছন ফিরে দেখেন, পৌর কাউন্সিলরবৃন্দ মঞ্চে মন্ত্রীর ঠিক পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় একে অন্যের সাথে কিছু প্রয়োজনীয় বলাবলি করছেন। তা দেখে মন্ত্রী মহোদয় ভীষণ রেগে যান এবং বক্তব্য শেষ না করেই মঞ্চ ত্যাগ করেন। মন্ত্রীর মঞ্চ ত্যাগকালে নবনির্বাচিত মেয়র রাফিকা আকতার জাহান মন্ত্রীর দু’হাত ধরে অনুনয়-বিনয় করতে লাগলেন বক্তব্য শেষ করার জন্য। কিন্তু মন্ত্রী সিদ্ধান্তে অটল, কিছুতেই মেয়রের অনুনয়-বিনয় শুনলেন না। মেয়রকে সজোরে ধাক্কা দিলেন মন্ত্রী। এমতবস্থায় জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান এগিয়ে এসে ক্ষীণ কন্ঠে মন্ত্রীকে অনুরোধ করতে লাগলেন বক্তব্য শেষ করার জন্য। কিন্তু মন্ত্রী তাকেও ধাক্কা দিলেন এবং মঞ্চ ত্যাগ করলেন। বিষয়টি সৈয়দপুরে এখন টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে এবং এ ধাক্কা দেয়ার ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

মঞ্চের এ অনাকাংখিত বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে মঞ্চে উপবিষ্ট সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান তথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি উত্তরে বলেন, বিষয়টি বুঝে ওঠতে পারলাম না। এ নিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান তিনি।