Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

খাগড়াছড়িতে করোনা রোগীদের সুচিকিৎসায় পাজেপ সর্বাত্মক পদক্ষেপ নেবে খাগড়াছড়ি

খাগড়াছড়িতে করোনা রোগীদের সুচিকিৎসায় পাজেপ সর্বাত্মক পদক্ষেপ নেবে

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার করোনা রোগীদের সুচিকিৎসায় পার্বত্য জেলা পরিষদ (পাজেপ) সর্বাত্মক পদক্ষেপ নিচ্ছে। খাগড়াছড়ি জেলা ৯টি উপজেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলছে। জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় সুযোগ রয়েছে শুধুমাত্র আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালেই। গত কয়েকদিন থেকে হাসপাতালে শয্যা সংখ্যার তুলনায় রোগী ভর্তির চাপও বেড়ে চলেছে।

চিকিৎসকরা আশঙ্কা করছেন, প্রতিদিন যে হারে নতুন নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছেন, তাতে আগামীতে রোগীর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে এবং সঙ্কট দেখা দিতে পারে শয্যার।

এ অবস্থায় গত সোমবার খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু সরেজমিনে হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে জরুরী ভিত্তিতে ত্রিশ শয্যার আরো একটি করোনা ওয়ার্ড চালু করতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের নির্দেশনা দেন। এসময় তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, জেলায় করোনা রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে সর্বাত্মক পদক্ষেপ নেয়া হবে। তবে সরকারি স্বাস্থবিধি মানার ক্ষেত্রে যদি আমরা সকলে সচেতন ও আন্তরিক হই, তাহলে সবাই মিলে অনেক বেশি ভালো থাকতে পারবো।

এরিই মধ্যে পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শঙ্কর চাকমা নিজে উপস্থিত থেকে অবকাঠামোর সম্ভাব্য স্থান নির্ধারণসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুুতি শেষ করেছেন। তিনি জানান, যত দ্রুত সম্ভব আমরা এটি নির্মাণ করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে বুঝিয়ে দেবো।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ৫০শয্যার করোনা ইউনিট রয়েছে। কোরবানী ঈদের পর হাসপাতালে শয্যার চেয়ে রোগী বেশী ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী হাসপাতালে ৫৩ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।

এদিকে সরেজমিনে হাসপাতালে করোনা টিকা নেওয়ার জন্য নারী পুরুষ দীর্ঘ লাইন ধরে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে টিকা নেওয়ার আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে রোগী সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু সোমবার হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি চিকিৎসকদের সাথে কথা বলেন। তিনি জরুরী ভিত্তিতে আরো ৩০বেডের একটি করোনা ইউনিট চালু করার নির্দেশনা দেন হাসপাতালের কর্মকর্তাদের।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় এ পর্যন্ত ১৬জনের মৃত্যু হয়েছে। এই মাসের করোনা শনাক্তের হার ২৮.৯%।

জেলায় করোনা সংক্রমণ উপজেলা ভিত্তিক বিবেচনা করলে, জেলা সদর ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সীমান্তবর্তী উপজেলা সমূহ পানছড়ি, মাটিরাঙ্গা ও রামগড় উপজেলায় সংক্রমণের হার অন্যান্য উপজেলা গুলোর চাইতে বেশী।

খাগড়াছড়ি জেলা সিভিল সার্জন ডা: নুপুর কান্তি দাশ জানান, হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা হাসপাতালের ৫০শয্যার অতিরিক্ত আরো ২০শয্যার ব্যবস্থা করে রেখেছি। গত সোমবার (২৬ জুলাই) খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। তিনি আরো ৩০শয্যা বেডের একটি নতুন করোনা ইউনিট চালু করার জরুরী নির্দেশনা দেন। হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাব নেই বলে তিনি জানান। এছাড়াও জেলায় করোনা টিকা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।