Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

সৈয়দপুরে নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে শিশু-কিশোররা! নীলফামারী

সৈয়দপুরে নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে শিশু-কিশোররা!

মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ১৬ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে স্কুল- কলেজ। এ অবস্থায় কিশোররা মাদক ও ছিঁচকে চুরির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। এ নিয়ে চিন্তিত অভিভাবক ও সুধীজন। জানা গেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় সঙ্গদোষে ছোটখাটো অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে কিশোররা।

বর্তমানে সারাদেশের ন্যায় নীলফামারীতে চলছে কঠোর লকডাউন। তারপরও সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে অলিগলিতে বসছে কিশোরদের আড্ডা আর মাদক সেবন। স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ি বা ট্রেনের কোচের ফাঁকফোকর বা রেললাইনের অদূরে কোন নিরাপদ স্থানে বসে কিশোররা মাদক সেবন করছে। মাদক বিক্রেতারাই পৌঁছে দিচ্ছে তাদের কাছে মাদক। লকডাউন নিয়ে পুলিশ সদস্যরা দিনভর ব্যস্ত থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যবসা জমিয়ে তুলছে তারা। আর মাদকের টাকা জোগাড় করতে ছিঁচকে চুরির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে কিশোররা। বাসাবাড়ির ইন্টারনেট, ওয়াইফাই ও বৈদ্যুতিক তার চুরি, নলকূপের মাথা ও পড়ে থাকা লোহালক্কর বিক্রির টাকায় নেশা করছে কিছু কিশোর।

জানা গেছে, বাইসাকেল বা রিক্সাভ্যানের লিক সারানোর কাজে ব্যবহার করা সলিশন ও ড্যান্ডি আঁঠার নেশায় আসক্ত হচ্ছে ৮/১৬ বছরের শিশু-কিশোররা। যেসব শিশু-কিশোর হাটবাজার আর বাইরে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে তাদের মধ্যে এ নেশা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এছাড়া ফার্মেসিতে ট্যাপেন্টাডল কিনে নেশা করছে কিশোররা।

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু মো. আলেমুল বাসার বলেন, এ কেমিক্যাল আঁঠার নেশা লিভারসহ শরীরের নানা অঙ্গের ও রক্তের কণিকার ব্যাপক ক্ষতি করে থাকে। পূর্ণবয়স্ক না হওয়ায় শতকরা ৭৫ ভাগ ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। সলিশন বা ড্যান্ডির নেশায় আসক্ত হয়ে শিশু-কিশোর এগিয়ে যাচ্ছে মরণব্যাধির দিকে।

এ প্রসঙ্গে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান জানান, ছোটো-খাটো বিষয়ে অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে শিশু-কিশোররা। তবে থানা পুলিশ এ ব্যাপারে সজাগ রয়েছে। অভিভাবকদেরও সচেতন থাকতে হবে।