Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই, দেখাও নেই কেউ

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে নির্বিঘ্নে পারাপার হচ্ছে অসংখ্য যাত্রী ও যানবাহন রাজবাড়ী

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে নির্বিঘ্নে পারাপার হচ্ছে অসংখ্য যাত্রী ও যানবাহন

কঠোর লকডাউনের বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট দিয়ে ঢাকায় যাচ্ছে অসংখ্য যাত্রী ও ব্যক্তিগত যানবাহন। অপরদিকে ঈদের কয়েকদিন পেড়িয়ে গেলেও ঢাকাসহ আশপাশের জেলা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শত শত মানুষ বড়ি ফিরছেন।

এ সময় মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি এবং অনেকের মুখেই দেখা যায়নি মাস্ক। লকডাউনে জরুরী সেবার যানবাহন পারাপারের জন্য সীমিত সংখ্যক ফেরি চলাচলের সুযোগে এসব যাত্রী ও ব্যক্তিগত যানবাহন পারাপার হচ্ছে।  

গত কয়েকদিনের মত সোমবার (২৬ জুলাই) সকাল থেকেই দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের পাটুরিয়া প্রান্ত থেকে ছেড়ে আসা ও দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে ছেড়ে যাওয়া ফেরিতে এমন চিত্রই দেখা যায়।

এদিকে মহাসড়কে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঢাকামূখী যাত্রীরা ব্যক্তিগত গাড়ি, অটোরিক্সা, থ্রী হুইলার, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে ভেঙে ভেঙে মহাসড়কে উঠে কৌশলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে ফেরিতে উঠছেন যাত্রীরা। এছাড়া বিভিন্ন প্রয়োজনে ঢাকা ছেড়ে অনেকে নানা উপায়ে পাটুরিয়া প্রান্ত দিয়ে নদী পার হয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে নানা উপায়ে ফিরছেন গন্তব্যে।

অপরদিকে সোমবারও ঢাকায় কর্মস্থলে যাওয়া অসংখ্য মানুষের সাথে সাথে দক্ষিনাঞ্চলে আসা মানুষের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে বিভিন্ন যানবাহনের সাথে শত শত যাত্রী মোটরসাইকেল নামছে।

এ সময় ঢাকা থেকে রাজবাড়ী আসা যাত্রি আমিনুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগে প্রিয়জনের সাথে ঈদ করতে আসতে পারিনি, তাই এখন ঢাকা থেকে নিজ বাড়ি যাচ্ছি। করোনার ঝুকি আছে জেনেও মা বাবাসহ আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখা করতে যাচ্ছি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৌলতদিয়া ঘাটে দায়িত্বরত পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সাধারণ যাত্রী পারাপার ফেরিতে পুরোপুরি বন্ধ। এরপরও যাত্রীরা জরুরি কাজের নানা অজুহাত দেখাচ্ছে। কেউ বলছে অসুস্থ, কেউ বলছে রোগী দেখতে যাবে, কেউবা বলছেন চাকরি বাঁচাতে হলে ঢাকায় যেতেই হবে। আমরা নিষেধ করলেও তারা ফেরিতে উঠে যাচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. জামাল হোসেন বলেন, এ নৌরুটে জরুরী সেবার যানবাহন পারাপারের জন্য ছোট বড় ৮টি ফেরি দিয়ে চলাচল করছে। এ সুযোগে সাধারণ যাত্রী ও মটরসাইকেল ফেরিতে উঠে যাচ্ছে, লোকবল সঙ্কটে তাদেরকে ঠেকানো যাচ্ছে না এবং ব্যক্তিগত যাত্রীবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে যথাযথ কারণ ও প্রমান ছাড়া ফেরির টিকেট দেয়া হচ্ছে না বলে তিনি জানান।