Opu Hasnat

আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪,

মোরেলগঞ্জে কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন বাগেরহাট

মোরেলগঞ্জে কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সারাদেশের ন্যায় বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সরকারের দু’সপ্তাহব্যাপি লকডাউনের প্রথমদিন কঠোর অবস্থানে ছিলেন উপজেলা প্রশাসন, পৌরসভা ও পুলিশ। পুলিশের চেকপোস্ট ছিল গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে। পৌর কর্তৃপক্ষ ও কাউন্সিলররা লকডাউন বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট এলাকায় কাজ করছেন।

দিনভর বৃষ্টি আর প্রশাসনের কঠোরতায় লকডাউনের প্রথমদিন শুক্রবার মোরেলগঞ্জের বেশির ভাগ সড়ক ও জনাকীর্ণ স্থান ফাঁকা থাকতে দেখা যায়। ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া সব দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকতে দেখা যায়। মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ লকডাউন বাস্তবায়নে  নব্বইরশি বাস স্ট্যান্ড, ফেরিঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়েছে। সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। চিকিৎসা, খাদ্যপণ্য ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি পৌর কর্তৃপক্ষ মোরেলগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন প্রবেশদ্বারে বারিকেডের ব্যবস্থা করেছে।

সদ্য যোগদানকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে রয়েছে। জরিমানা বা শাস্তিদানের মত কোন ঘটনা চোখে পড়েনি।

এদিকে, বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাড. আমিরুল আলম মিলন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর নির্বাচিত এলাকা মোরেলগঞ্জ-শরণখোলার জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি ও জারিকৃত বিধি-নিষেধ পালনের অনুরোধ করে প্রচারণা চালান।

বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার পৌর কর্তৃপক্ষ জনগণকে মাস্ক ব্যবহার, বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে না থাকতে মাইকিং করে সকলকে লকডাউনে জারিকৃত বিধি-নিষেধ মেনে চলতে অনুরোধ করছেন। করোনা প্রতিরোধে মাস্ক ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরে লকডাউন শুরুর আগেরদিন বৃহস্পতিবার পৌর মেয়র পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে জনগণের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেছেন।

পৌরসভার মেয়র এস এম মনিরুল হক করোনার তৃতীয় ধাপ মোকাবেলায় কঠোর অবস্থানেই রয়েছেন। কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই পৌরসভার কাউন্সিলরদের, কর্মকর্তা,কর্মচারীদের দু’সপ্তাহব্যাপি লকডাউন কার্যকরে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেছেন। মোরেলগঞ্জে মাছ, মাংস, কাঁচাবাজার, মুদিখানা সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান গুলো নির্ধারিত সময় খোলা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। ঔষধ এবং চিকিৎসা কেন্দ্র গুলো এই নির্দেশের বাইরে থাকবে। এছাড়া সকল দোকান-পাট ও পৌরসভার মধ্যে সব ধরেনর যানবাহন চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। পৌর প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ সামাজির দুরত্ব নিশ্চিত করে খোলা মাঠে কাঁচাবাজার বসার নির্দেশ দেয়া হয়।

এ বিষয়ে পৌরসভার মেয়র এস এম মনিরুল হক বলেন, ‘সারাদেশে দু’সপ্তাহব্যাপি কঠোর লকডাউন চলছে। এক্ষেত্রে পৌর প্রশাসন কিছু কিছু ক্ষেত্রে দোকানপাট বন্ধে সময়সীমা পুননির্ধারণ করেছেন। প্রতিনিয়ত জনসাধারণকে সচেতন করতে পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে, পৌরসভার প্রধান সড়কে জীবানুনাশক স্প্রে ছিটানো হচ্ছে, কেউ যেন নিষেধাজ্ঞা অমান্য না করে সেজন্য প্রতিদিন অভিযান অব্যাহত থাকবে। এছাড়া সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করে কেনাবেচা করার আহবান জানানো হয়েছে । এর পরে যদি কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

 

এই বিভাগের অন্যান্য খবর