কিছুতেই আটকানো যাচ্ছে না মৃত্যুর মিছিল
লোহাগড়ায় গত ২৪ ঘন্টায় আরও দুই জনের মৃত্যু নড়াইল / 
নড়াইল লোহাগড়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার বিভিন্ন সময়ে তাঁদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে নড়াইল জেলায় করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৫০। যার মধ্যে শুধু মাত্র লোহাগড়া উপজেলায় মৃত্যুর সংখ্যা ১৭ জন। এছাড়া কলিয়ায় ১৪, নড়াইল সদর হাসপাতালে ১১ এবং নড়াইল সদর উপজেলায় ৮ জনের মৃত্যু হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়ার ভাটগাতি গ্রামের ইলিয়াস শেখ। তার বয়স ৫০ বছর, তিনি নিজ বাড়িতে মারা জান। এছাড়া ইতনা গ্রামের ৬৫ বছর বয়সী অশোক হাজরা নামের আরও এক ব্যক্তি নিজ বাড়িতেই মারা গিয়েছেন। তারা গত ৩০ জুন করোনা টেষ্ট করতে নমুনা দিলে ফলাফল পজেটিভ আসে। এর পর থেকেই ওই দুইজন নিজ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। অশোক হাজরার বড় চাচি চন্দনা হাজরা তিনিও করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গিয়েছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।
জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হন গত ৭ এপ্রিল। এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৮৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মাধ্যে কোভিট-১৯ প্রমাণিত রোগীর সংখ্যা হয়েছেন ২ হাজার ৮৩৮ জন। এর মধ্যে নড়াইল সদর উপজেলায় ১ হাজার ৪৮৬, লোহাগড়ায় ৯৬৫ এবং কালিয়া উপজেলায় ৩৮৭ জন।
এছাড়া জেলার তিনটি হাসপাতালে করোনা পজেটিভ ভর্তি রোগীর সব শেষ সংখ্যা ৩৯জন। এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়েছেন ২০৯২জন।
কথা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শরীফ সাহাবুর রহমানের সাথে। তিন বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগী ও তার পরিবারের সদস্যরা যেন যত্রতত্র ঘোরাঘুরি না করে সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। লকডাউনের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি যথাযথ ভাবে মানতে হবে। ঠিকমতো মাস্ক পরা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সমাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সবাইকে চলতে সচেতন করতে পারলেই আমরা হয়ত শিগ্রই কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারব।
এ দিকে ১ জুলাই থেকে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে যুক্ত হয়েছে সেনাবাহিনী। এ বিষয়ে কথা হয় লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু হেনা মিলন। তিনি বলেন, শুরু থেকেই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী কাজ করছে। আমাদের অনেক সহকর্মী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। তার পরও দেশের এমন পরিস্থিতিতে লকডাউন বাস্তবায়নে মানুষদের সচেতন করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুুলিশ। বর্তমানে কাজে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এতে করে আমাদের কাজের গতি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।