Opu Hasnat

আজ ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ২০২৪,

করোনায় আক্রান্ত হয়েও নিশ্চিন্তে হাট-বাজারে ঘুরছেন তারা! চুয়াডাঙ্গা

করোনায় আক্রান্ত হয়েও নিশ্চিন্তে হাট-বাজারে ঘুরছেন তারা!

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকাসহ দামুড়হুদা উপজেলা সদরে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেলেও স্বাস্থবিধি মানছেন না সাধারণ মানুষ। এমনকি আক্রান্ত হওয়ায় লকডাউনকৃত পরিবারের লোকজনও করোনার উপসর্গ নিয়ে প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে হাট-বাজারসহ বিভিন্ন এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। আক্রান্ত ও উপসর্গ থাকা সত্বেও নিশ্চিন্তে বাড়ির বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অনেকে। এছাড়া উপসর্গ থাকা সত্বেও রিপোর্ট পজিটিভ আসলে বাড়ি লকডাউন করে দেওয়া হবে এমন ভয়ে পরীক্ষা করাতে নারাজ উপজেলার বেশিরভাগ মানুষ। উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, পুলিশ প্রশাসন, আনছার বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবক দল তাদের কাছে ফোন দিলেই লকডাউনকৃত পরিবারের সদস্যদের হাট-বাজার, ওষুধসহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় দ্রব্য-সামগ্রী বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেও তারা বাইরে বের হচ্ছেন। হাট-বাজারে ঘুরছেন। ফলে লকডাউন বাস্তবায়নে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনকে।

দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড পাড়ার একবাড়ী লকডাউন করা থাকলে মঙ্গলবার সকালে ঐ বাড়ীর মালিকে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে। গত কয়দিন আগে দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হাতিভাঙ্গা ও মুক্তারপুর গ্রামে লকডাউনকৃতদের বাড়িতে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিতে গিয়ে রোগীর খোঁজ খবর নিলে দেখা যায় তাঁরা বাড়ির বাইরে ঘোরাফেরা করছেন। রোগী কোথায় জানতে চাইলে পরিবারের লোকজন জানান, বাজারে ওষুধ কিনতে গেছেন। আবার কেউ বলছে নামাজ পড়তে মসজিদে গেছেন। একই অবস্থা উপজেলার সীমান্তবর্তী অন্য গ্রামগুলোতেও। এছাড়াও উপজেলার ফার্মেসিগুলোতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে ঠান্ডা, সর্দি, কাশি ও জ্বরের ওষুধ। পরীক্ষা এড়াতে উপসর্গ আছে এমন ব্যক্তিরা নিজেরাই এসব কিনে খাচ্ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফার্মেসি মালিক বলেছেন, 'নমুনা পরীক্ষা করলে ৫০ শতাংশের বেশি করোনা সনাক্ত হবে।' সচেতন মহল বলছে উপজেলায় বিভিন্ন গ্রামে প্রায় প্রতি বাড়িতেই জ্বর, কাশি, ঠান্ডায় আক্রান্ত রোগী রয়েছে। এদের পরীক্ষা করা হলে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হবে।

দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল শুভ জানান, সোমবার (২১ জুন) পর্যন্ত উপজেলায় আক্রান্তের সংখা ৬৭৫জন। এ পর্যন্ত উপজেলায় মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। এছাড়াও উপসর্গ নিয়ে মারা যাচ্ছেন অনেক মানুষ। এরপরেও মানুষ সচেতন হচ্ছে না। উপজেলার আক্রান্ত এলাকায় ক্যাম্প বসিয়ে নমুনা নিতে গেলেও উপসর্গ থাকা সত্বেও নমুনা দিতে নারাজ বেশিরভাগ মানুষ।