Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

কালকিনিতে করোনার কারনে অযত্ন অবহেলায় পড়ে আছে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান মাদারীপুর

কালকিনিতে করোনার কারনে অযত্ন অবহেলায় পড়ে আছে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান

দীর্ঘদিনের মহামারী করোনার কারনে অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ডাসার ডিকে আইডিয়াল সৈয়দ আতাহার আলী স্কুল এ্যান্ড কলেজ। দীর্ঘ সময় ধরে করোনার কারনে এই শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান দুটি বন্ধ থাকায় ময়লা-আর্বজনার স্তুপে পরিনত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন সুত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, ডিকে আইডিয়াল সৈয়দ আতাহার আলী স্কুল এ্যান্ড কলেজ করোনার আগে ছিল অনেক গোছানো। এবং কি খুব সাজানো গোছানে ছিল করোনা আগ মুহুর্তেও। ঐতিহ্যবাহি এই শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান দুটির লেখা-পড়ার দিক দিয়ে রয়েছে অনেক সুনামও। কিন্তু করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিষ্ঠান দুটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হারিয়েছে তার ঐতিহ্য। এরপর থেকে করোনাকে কেন্দ্র করে নেই শিক্ষকদের তেমন কোন উপস্থিতি। নেই কোন সঠিক তদারকি। বর্তমানে করোনায় লকডাউনের সুযোগে ডিকে আইডিয়াল সৈয়দ আলী স্কুল এ্যান্ড কলেজ মাঠে সড়ক নির্মান কাজে ব্যবহৃত বালু জমাট করে রাখা হয়েছে। ফেলে রাখা হয়েছে বিভিন্ন নির্মান সামগ্রী। বিদ্যালয়ের সিড়ির মেঝেতে ময়লা-আর্বজনার স্তুপ পরে আছে। ধুলা-বালিতে একাকার হয়ে আছে পড়ার বেঞ্চ ও টেবিল। মানুষের কোন আনাগোনা না থাকায় পোকা-মাকড়ে বাসা বেধেছে বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষে। এছাড়া মাঝেমধ্যে বিদ্যালয়ের মাঠে গরু-ছাগল চরানো হয়। গরু-ছাগলের মুল-মুত্রের গন্ধে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করা দুরহ ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। যত্নের অভাবে সৈয়দ আতাহার আলী স্কুলের ভবনের রং নষ্ট হয়ে গিয়ে পলেস্তারা খসে-খসে পড়ছে। তবে সৈয়দ আতাহার আলী স্কুলে ক্লাশ বন্ধ থাকলেও থেমে নেই কিছু শিক্ষকদের  প্রাইভেট পড়ানো। ফাঁকে যোকে দুই-একটি রুম খুলে পড়ানো হয় প্রাইভেট।

ডিকে আইডিয়াল সৈয়দ আতাহার আলী স্কুলের সহকারী শিক্ষক অনিল বৈদ্য বলেন, করোনার কারনে স্কুল বন্ধ তাই ধুলাবালি, ময়লা আর্বজনা পড়েছে। স্কুল হয়তবার খুললে সকল সমস্যা চলে যাবে। স্কুলের দুই একজন শিক্ষক মাঝে-মাঝে একটু প্রাইভেট পড়ান।

ডিকে আইডিয়াল সৈয়দ আতাহার আলী কলেজের সহকারী অধ্যপক এইচ এম ইকরাম বলেন, করোনার কারনে কলেজ বন্ধ হয়ে যায়। সেই মোতাবেক আমরা সকল রুম তালাবদ্ধ করে রাখি। শ্রেনী কক্ষে ধুলাবালি হলে আমরা মাঝে-মাঝে পরিস্কার করে রাখি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, করোনার কারনে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় এই দশা হয়েছে। তবে খুলে গেলে সকল সম্যসা সমাধান হয়ে যাবে। আর প্রাইভেটের পড়ানো নিষিদ্ধ। ব্যবস্থা নেয়া হবে।