Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

দামুড়হুদায় ক্যাম্প বসিয়ে কোভিড-১৯ এর স্যাম্পল সংগ্রহ চুয়াডাঙ্গা

দামুড়হুদায় ক্যাম্প বসিয়ে কোভিড-১৯ এর স্যাম্পল সংগ্রহ

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী কার্পাশডাঙ্গা, কুড়ুলগাছি ও পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের পর এবার দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নে  ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সদর ইউনিয়নের মুক্তারপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্যাম্প বসিয়ে কোভিড-১৯ এর স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়েছে। দিন দিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এই সংক্রমন ছড়িয়ে পড়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা প্রসাশন এই উদ্দ্যোগ নিলেও সাধারন মানুষের মাঝে তেমন একটা সাড়া নেই। সম্প্রতি দামুড়হুদার সীমান্তবর্তী কার্পাশডাঙ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ব্যপক হারে এই সংক্রমন ছড়িয়ে পড়ে। পর্যায় ক্রমে তা উপজেলার সীমান্তবর্তী কুড়–লগাছি ও পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়লে ইউনিয়ন গুলোর ১৬টি স্থানে বাসের ব্যারিকেট দিয়ে সাধারন মানুষের চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে লকডাউন ঘোষনা করা হয়। শনাক্তের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি মাসের ২ তারিখে হরিরাম প্রথমিক বিদ্যালয়ে ক্যাম্প বসিয়ে র‌্যাপিড এ্যান্টিজেন টেষ্ট পরীক্ষা করা হয়। ১৪০ জনের পরীক্ষা করে নারীসহ ২৪ জনের রিপোর্ট পজেটিভ হয়। এরপর ৬ জুন দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থকমপ্লেক্সে থেকে ৫১জনের নমুনা সংগ্রহ করে কুষ্টিয় পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। ৭ জুন ৩৭ জনের রিপের্ট আসলে ১৮জনের পজেটিভ আসে।

এর মধ্যে সদর ইউনিয়নের বদনপুর গ্রামের ৫জন, দামুড়হুদা সদরে ৩জন, চিৎলা গ্রামে ১জন ও কেশবপুর গ্রামে ১জন। বাকী ৮জন সীমান্তবর্তী তিন ইউনিয়নের।বুধবার সন্ধ্যায়  জেলায় ৮০ জনের রিপোর্ট আসে এরমধ্যে মধ্যে ৩৭ জনের পজেটির তার মধ্যে দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নে ৫জন বাকী ৮জন সীমান্তবর্তী এলাকার। এমন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সদর ইউনিয়নের মুক্তারপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্যাম্প বসিয়ে সকাল ৯টা থেকে ২টা পর্যন্ত ৫৩ জনের স্যাম্পুল সংগ্রহ হয়। ডাক্তাদের বিভিন্ন চেম্বার গুলোতে জ্বর, ঠান্ডা কশি রোগীর ভিড় লক্ষ করা গেলে করোনা টেষ্ট করার কোন আগ্রহ নেই। উপসর্গ দেখা দিলে ও তারা কোন ভাবে স্যাম্পুল দেওয়া বা নমুনা পরীক্ষা করাতে নারাজ।

দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল শুভ জানান, সীমান্তবর্তী এলাকা গুলোর এই সংক্রমন ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ায়  মানুষ সাধারন মানুষ অনেকটা সচেতন হলেও গত কয়েক দিনে দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নে ব্যাপকভাবে সংক্রমন ছড়িয়ে পড়লে ও স্যাম্পল দিতে বা নমুনা পরীক্ষা করাতে নারাজ অধিকাংশ মানুষ। সদর ইউনিয়নে হাতিভাঙ্গা, বদনপুর মুক্তারপুর, নাপিতখালি গ্রামে আক্রান্তের হার বেশি হওয়ায় আজ স্যাস্পল সংগ্রহের জন্য  ক্যাম্প করা হলেও মাত্র ৫৩ জন স্যাম্পল দিয়েছে। আজই এই স্যাম্পল কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হবে। রিপোর্ট পেতে দুই তিন দিন সময় লাগতে পারে। বর্তমানে দামুড়হুদা উপজেলায় ১৩৩ রোগী হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গত ১০ দিনে উপজেলায় বিভিন্ন গ্রামে ৭জন মারা গেছে।