Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

ফরিদপুরে থানা আ.লীগের নেতার উপর বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মিদের হামলা ফরিদপুর

ফরিদপুরে থানা আ.লীগের নেতার উপর বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মিদের হামলা

ফরিদপুরের সদর উপজেলার শিবরামপুর বাসষ্টান্ডে পত্রিকা আনতে গিয়ে ভয়াবহ হামলার স্বীকার হয়েছেন কোতয়ালী থানা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজল ঘোষ। তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে এই ঘটনায় জেলা আওয়ামীলীগ ও থানা আওয়ামীলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মিদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।   

এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক বিপুল ঘোষ বলেন, শিবরামপুর রেলষ্টেশনে পদ্মা সেতুৃর কাজে ব্যবহৃত পাথর নামার চুক্তি করা হয় পাথর ব্যবসায়ী শাহজাহান সাহেবের সাথে। এই পাথার নামার বৈধ কাগজ রয়েছে আমার নামে। প্রভাব খাটিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল হক ভোলা মাষ্টারের নির্দেশে তার আত্মীয় স্বজন বিএনপি, জামাত ও হেফাজতের নেতাকর্মিরা বাধা দিয়ে দখল করে ইর্য়াডটি। তাদের কোন কাগজপত্র না থাকার পরও শুধু প্রভাব খাটিয়ে তারা এই কাজ শুরু করে।  তিনি বলেন, ইর্য়াড দখলের ঘটনার পর রাজবাড়ী রেলওয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করি। ব্যাপারটি রেলমন্ত্রীকে জানানো হলে তিনি রেলের এক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন। এরপর মামলাটি রেকর্ডের পর জিআরপি পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে এজাহারভুক্ত দুই আসামী সোহেল ও রাজীবকে আটক করে নিয়ে যায়। আমার পরিবার সারা জীবন আওয়ামলীগের রাজনীতির সাথে জরিত। আজ ভোলা মাষ্টারের নির্দেশে তার আত্মীয় স্বজন বিএনপি, জামাত ও হেফাজতের নেতাকর্মিরা বাধা দিয়ে ইর্য়াড দখল ও আমার ভাতিজার গায়ে আঘাত করা এটা কিসের আশুনি সংকেত। শুধু রাজনীতির পদপদবি পাওয়ার জন্য আজ বিএনপি, জামাত ও হেফাজতের সাথে হাত মেলানো কি ঠিক হয়েছে তার। আমরা শুনেছি তাকে মাসোয়ার হিসেবে প্রতি মাসে তিন লাখ টাকা করে দেবে। 

এ বিষয়ে কাজল ঘোষ জানান, আমি মঙ্গলবার দুপুরে পত্রিকার আনার জন্য শিবরামপুর বাসষ্টান্ডে গেলে কোতয়ালী থানা ছাত্রদলের আহবায়ক আরাফাত শাহ্, হেফাজত নেতা সাদ্দাম, আলাউদ্দিন শাহ্, জহির শাহ্, পাপুল, শহীদ ব্যাপারী, বায়োজিদ সহ ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি দল আমার উপর হাতুরি, বাটাম, ছ্যান নিয়ে হামলা করে। এসময় আমার হাত সহ বিভিন্নস্থান ভেঙ্গে যায়। তিনি বলেন, পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
     
এবিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড. সুবল চন্দ্র সাহা বলেন, আমি ঘটনা জানার সাথে সাথে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার ও ওসি কে জানাই বিষয়টি দেখার জন্য। তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এসময়। 

ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন বলেন, ওইখানে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা নিন্দা জনক। তিনি এই ঘটনার পর ফরিদপুরের পুলিশ সুপার ও ওসিকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন কঠোরভাবে বলেও জানান। 

কোতয়ালী থানার অফিসার ইনর্চাজ এম এ জলিল জানান, ঘটনা জানার সাথে সাথে সেখানে উপ-পরিদর্শক কৃষ্ণ কুমারকে পাঠানো হয়। এখন অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।