Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

ভাসানচরে প্রথম রোহিঙ্গা শিশুর জন্ম নোয়াখালী

ভাসানচরে প্রথম রোহিঙ্গা শিশুর জন্ম

ভাসানচরে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রথম একটি শিশু জন্ম নিলো। শুক্রবার সকালে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথম সন্তান জন্ম দিলেন রাবেয়া বেগম (২০) নামে এক রোহিঙ্গা নারী। সন্তান প্রসবের পর তাকে ভাসানচরে পৌছে দেওয়া হয়।

রাবেয়া ভাসানচরে ৭ নম্বর ক্লাস্টারের ৮নম্বর হাউজের আবুল কাশেম হাসানের স্ত্রী। তিনি কুতুপালং থেকে প্রথম ধাপে ভাসানচরে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে একজন। এর আগে প্রসব ব্যাথা শুরু হলে তাকে নৌ-অ্যাম্বুলেন্সে ভাসানচর থেকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। 

হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য জরুরী বিভাগের ডাক্তার বিমান চন্দ্র আচার্য জানান, সন্তান প্রসব করা রাবেয়া ও তার নবজাতক ছেলে সন্তান দুজনই সুস্থ রয়েছে।

নবজাতকের মা রাবেয়া বলেন, ‘ভাসানচরে আসার পর থেকে আমি সন্তান সম্ভাবনা হওয়ায় অনেক চিন্তিত ছিলাম। আমি প্রতিনিয়ত ভাসানচরে হাসপাতাল-১ এর ডাক্তারদের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। এখানকার ডাক্তারদের অধিক আন্তরিকতায় আমি খুবই খুশি। আল্লাহর রহমতে আমরা মা ও ছেলে উভয় খুবই ভালো আছি।’
 
ভাসানচর ৪০ শয্যা হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা ডাক্তার মাহতাব উদ্দিন বলেন, ‘ভাসানচরে যে মানের হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে তাতে আমরা রাবেয়ার সন্তান প্রসবের চিকিৎসা দিতে পারতাম। কিন্তু আমাদের কাছে গর্ভবতী মায়ের কিছু ওষধ ছিল না তাই আমরা তাকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করি।’

এর আগে, গত ৪ ডিসেম্বর নৌ বাহিনীর তিনটি জাহাজে চট্রগ্রাম থেকে ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গার একটি দল ভাসানচরে পৌঁছায়। প্রথম ধাপে নারী-পুরুষ, শিশুসহ ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে পৌঁছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এরমধ্যে শিশু ৮১০ জন, পুরুষ ৩৬৮ জন ও নারী ৪৬৪ জন রয়েছে। নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথম সন্তান জন্ম দিলেন রাবেয়া বেগম (২০) নামে এক রোহিঙ্গা নারী। ভাসানচরে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মধ্যে জন্ম দেওয়া এটি প্রথম শিশু।