কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের ছুড়া রাবার বুলেটে বিল্লাল হোসেন (৪৮) নামের একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

সোমবার (০৬ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১ টায় উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের সান্দিয়ারা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত বিল্লাল হোসেন উক্ত এলাকার মৃত মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সামিউর রহমান সুমন ও ডাঁসা গ্রামের দুলাল শেখের শিল্পপতি ছেলে মামুনের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ চলে আসছিল। এরই জের ধরে সান্দিয়ারা বাজারে দু’গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় পুলিশ ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ছুড়লে সুমন গ্রুপের বিল্লাল গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’দল গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একে অপরের ওপর হামলা, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে বিল্লাল হোসেন নামের একজন নিহত হয়েছেন।  

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঘন্টাব্যাপি চলা এ সংঘর্ষে ৬ জন পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষেই প্রায় ২৫জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।