Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

ঠাকুরগাঁওয়ে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, বাড়ছে মাছধরা ফাঁদের কদর ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁওয়ে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, বাড়ছে মাছধরা ফাঁদের কদর

মোঃ আনোয়ার হোসেন, ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁও জেলায় এবার বৈশাখ মাসের শুরু থেকেই প্রতিদিন একটু না বৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে অনেক কৃষক সুবিধা মত ঘরে তুলতে পারছেনা ধান, মরিচ ও ভুট্টা। এদিকে কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারনে কৃষকের ধান  নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে।

কানায় কানায় ভরে উঠছে পুকুর, নদী-নালা, খাল-বিল। বর্ষায় নতুন পানি বাড়ায় নদী নালায় দেশি মাছের পরিমান বেশ ভালো দেখা যাচ্ছে।

এদিকে বর্ষা মৌসুমে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মাছ ধরার ফাঁদ বিক্রিও। নদী-খাল-বিলসহ বর্ষার পানি প্রবেশ করে এমন সব এলাকার লোকজন বর্ষার এই সময়টায় ব্যস্ত থাকে মাছ ধরা নিয়ে। আর মাছ ধরার অন্যতম এই ফাঁদ বিক্রিও বেড়ে যায় এ মৌসুমে।

শুক্রবার (২৬ জুন) রুহিয়ার রামনাথ বাজার, রঙ্গিয়ানী, শিবগঞ্জ, বড় খোচাবাড়ি আলাদী বাজার ঘুরে দেখা গেছে মাছ ধরার ফাঁদ হিসেবে তৈরি পোলই, ঢেহুর, বিক্রি হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে। দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতারা এসে মাছ ধরার খোলই, ঢেহুর, ঘুনি, চাঁই কিনছেন।
 
ক্রেতারা জানান, বাড়ির আশেপাশের জলাশয়ে বর্ষার নতুন পানি এসেছে। এসময় নদীর মাছও প্রবেশ করে খাল-বিলসহ জলাশয়ে। মাছ ধরার জন্য বাঁশের তৈরি এসব ঢেহুর, খোলই, ঘুনি দিয়ে (মাছ ধরার ফাঁ​দে) সহজেই মাছ ধরা যায়।

আব্দুর রাজ্জাক নামের সাধারণ এক ক্রেতা জানান, গত বছর বর্ষার সময় কিনেছিলাম। এক বছরে প্রায় ভেঙে গেছে। তাই আবার নতুন ফাঁদ কিনলাম।

বিক্রেতারা আরো জানান, বাঁশের দাম বাড়ায় মাছ ধরার ফাঁদের দামও বেড়েছে। গতবারে এই ফাঁদ ২‘শ করে বিক্রি করা হয়েছে। এ বছর ৩‘শ এর নিচে বিক্রি করলে লাভ হয় না। হাট গুলোতে ঘুরে ঘুরে দেখা গেছে, শিবগঞ্জে সাপ্তাহিক হাটে ভোর থেকেই মাছ ধরার এসব ফাঁদ বিক্রি হতে থাকে। সকাল ১০টার মধ্যে বিক্রি শেষ হয়ে যায়। প্রতি হাটে শতাধিক মাছের ফাঁদ বিক্রি হয়।

এছাড়া বাজার গুলোতে গোপনে মাছ ধরার কারেন্ট জালও বিক্রি হচ্ছে।

রাতের আধারে লক্ষ্য করে দেখা যায় যে রাতভরে শতশত মানুষ হাতে টর্চ লাইট ও বাঁশের তৈরী মাছ ধরা ফাঁদ নিয়ে মাছ শিকার করেন।