Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

বৃহত্তম ঈদের জামাত শোলাকিয়ায়, তিন লক্ষাধিক লোকের নামাজ আদায় জাতীয়কিশোরগঞ্জ

বৃহত্তম ঈদের জামাত শোলাকিয়ায়, তিন লক্ষাধিক লোকের নামাজ আদায়

প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদুল ফিতরের সর্ববৃহৎ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়। মুসল্লিরা ভোর থেকেই দলে দলে ঈদগাহ মাঠে আসতে শুরু করেন। তারা ঈদগাহে এসে কাতারবন্দি হন। তিন লক্ষাধিক মুসল্লি এ মাঠে নামাজ আদায় করেছেন বলে ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

শনিবার (১৮ জুন) সকাল ১০টায় জামাত শুরু হয়। জামাত শুরুর আগে ঈদগাহের রেওয়াজ অনুযায়ী শটগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে জামাত শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়। জামাতে ইমামতি করেন উলামা মাসায়েখ সংহতি পরিষদ ও ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।

ঈদগাহে নিরাপত্তার জন্য বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করা হয়। স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ মাঠে নামাজ আদায় করেন। ঈদ উপলক্ষে ঈদগাহ সংলগ্ন সড়কে বেশ কয়েকটি তোড়ণ নির্মাণ করা হয়।

এ মাঠে নামাজ আদায় করলে দোয়া কবুল হয়, প্রচুর সোয়াব পাওয়া যায়-এ বিশ্বাস থেকেই প্রতিবছর মুসল্লির সংখ্যা বাড়ছে। ২৭ রমজানের পর থেকেই দূর দূরান্তের মুসল্লিরা মাঠের ভিতর, আত্মীয় স্বজনের বাসা বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে এসে আশ্রয় নেয়। সকাল ৯টার আগেই ঈদগাহ ময়দান কানায় কানায় ভরে যায়। এরপরও মুসল্লিরা আসতে থাকেন। অনেকেই জায়গা না পেয়ে পাশের রাস্তা ও খালি জায়গায় নামাজ পড়েন। 
জনশ্রুতি আছে যে, শোলাকিয়া ঈদগাহের প্রথম বড় জামায়াতে সোয়ালাখ মুসল্লি অংশ গ্রহণ করেছিলেন। সেই থেকে উচ্চারণের বিবর্তনে সোয়ালাখ থেকে সোয়ালাখিয়া, সেখান থেকে বর্তমান শোলাকিয়া নামের উৎপত্তি।

মসনদ-ঈ-আলা ঈশাখাঁর ষষ্ঠ বংশধর দেওয়ান মান্নান দাদ খান ১৯৫০ সালে প্রায় পাঁচ একর ভূমি শোলাকিয়া ঈদগাহকে ওয়াকফ করে দেন। তবে ১৮২৮ সনে এ মাঠে প্রথম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা গেছে। সে অনুযায়ী এ মাঠের রয়েছে প্রায় আড়াইশত বছরের ঐতিহ্য। এ মাঠের বর্তমান জমির পরিমাণ প্রায় সাত একর। প্রায় তিন লক্ষাধিক মুসল্লি এ মাঠে একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন বলে ধারণা করা হয়।