Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

বন্যহাতিটি উদ্ধারে যৌথ অভিযানে নামছে ভারত-বাংলাদেশ জামালপুর

বন্যহাতিটি উদ্ধারে যৌথ অভিযানে নামছে ভারত-বাংলাদেশ

ভারত থেকে পাহাড়ি ঢলে ভেসে আসা বন্যহাতিটি উদ্ধারে আজ (৪ আগস্ট) অভিযানে নামছে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ দল।

ইতোমধ্যে ভারতীয় প্রতিনিধি দল জামালপুর থেকে সরিষাবাড়ীর উদ্দেশে রওনা হয়েছে।  দলটিতে রয়েছেন- আসামের হাতি বিশেষজ্ঞ ও বন কর্মকর্তা রিতেশ ভাট্টাচার্য, কৌশিক বাড়ই, এসএস তালুকদার।

বুধবার (৩ আগস্ট) বিকেল ৩টায় তারা বাংলাদেশে এসে পৌঁছান। রাতে জামালপুর সার্কিট হাউজে রাতযাপন করেছেন।

বাংলাদেশের পক্ষে উদ্ধারকারী দলের প্রধান ও ঢাকার আগারগাঁওয়ের বন্যপ্রাণী বিষয়ক অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসীম মল্লিক জানান, সার্বক্ষণিক আমরা হাতিটির গতিবিধি লক্ষ্য করছি।

দুপুরের আগেই উদ্ধার কাজ শেষ করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।  

এতদিনেও হাতিটি উদ্ধার করতে না পারার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বন্যার পানির কারণে হাতিটি কখনো ডাঙায় উঠতে পারেনি এ কারণে তাকে অজ্ঞান করা যায়নি। পানিতে অজ্ঞান করলে হাতিটি মারাও যেতে পারে, তাই আমরা এ ঝুঁকি নিতে চাইছি না।

তিনি ‍আরো বলেন, অজ্ঞান করতে না পারলে হাতিটিকে বশেও আনা যাচ্ছে না। ভারতের প্রতিনিধি দলটি সরিষাবাড়ী এলে তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে হাতিটি উদ্ধারে সর্বাত্মক চেষ্টা চলানো হবে।

হাতিটি উদ্ধারে আসা ১৭ সদস্যের তাদের এই দলটির সঙ্গে একজন ভেটেরিনারি সার্জন ও একজন মাহুতও রয়েছেন। এছাড়া স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনও সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।  

প্রসঙ্গত, গত ২৮ জুন ভারতের আসাম থেকে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম হয়ে প্রথমে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার ছিন্নার চরে তারপর সেখান থেকে ভাসতে ভাসতে গাইবান্ধা ও বগুড়ার কয়েকটি চর ঘুরে প্রায় শত মাইল পারি দিয়ে জামালপুরের সরিষাবাবাড়ী উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের শুয়াকৈর গ্রামে প্রবেশ করে হাতিটি। এরপর থেকেই সরিষাবাড়ীর বিভিন্ন গ্রামে বন্যার পানিতে ভেসে ভেসে বেড়াচ্ছে।

বুধবার রাত ৮টা থেকে হাতিটি পৌরসভার ঝিনাই নদীর উপর ব্রিজের সঙ্গে ঝালুপাড়ার আখ খেতে পানিতে অবস্থান করছে। এ পর্যন্ত ১৫টি বসতঘর তছনছ হাতিটি।