ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র প্রভাবে বরগুনার ৩২ গ্রাম প্লাবিত বরগুনা / 
ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র প্রভাবে বিষখালী, পায়রা ও বলেশ্বর নদীর জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে গেছে। ফলে বরগুনার বেড়িবাঁধের বাইরের নিম্নাঞ্চলের ৩২ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
প্লাবিত গ্রামগুলো হচ্ছে-বরগুনা সদর উপজেলার মাঝের চর, ডেমা, গুলিশাখালী, মানিকখালী, লবনগোলা, নাপিতখালী, পূর্ব বুড়িরচর, বেতাগী উপজেলার দক্ষিণ কালিকাবাড়ি, আলিয়াবাদ, উত্তর কালিকাবাড়ি, ভোড়া, বেতমোড়, উত্তর বেতাগী, কেওয়াবুনিয়া, ঝোপখালী, ছোট বেতাগী, আমতলী উপজেলার বৈঠাকাটা, কুলুর চর, পূর্ব চিলা, পশ্চিম চিলা, উত্তর তক্তাবুনিয়া, জেলে পাড়া, কলাগাছিয়া, আঙ্গারপাড়া, শাখারিয়া, আঙ্গলকাটা, তালতলী উপজেলার খোটকারচর, তেতুলবাড়িয়া, নলবুনিয়া, আশারচর, সখিনা ও আমখোলা।
এসব এলাকার বাড়ি-ঘরে জোয়ারের পানি ঢুকেছে। তলিয়ে গেছে কৃষি জমি ও মাছের ঘের। এছাড়া রাতের ঝড়ে অসংখ্য গাছপালা ভেঙে পড়েছে। অনেক সড়কের ওপর গাছ উপড়ে পড়ায় বিঘ্নিত হচ্ছে যানবাহন চলাচল। ঝড়-বৃষ্টির কারণে বিদ্যুৎ নেই জেলার বেশিরভাগ এলাকায়।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২০ মে) সকাল ৯টা থেকে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বরগুনায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ১১৭ মিলিমিটার।
এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড বরগুনার গেজ রিডার শাখা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বরগুনায় জোয়ারের উচ্চতা ছিল ২.৮২ মিটার।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বরগুনার নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম শহিদুল ইসলাম জানান, বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসরত মানুষ প্রতিনিয়ত জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানে’র প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় কিছুটা পানি বাড়লেও শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত তা বিপদসীমা অতিক্রম করেনি।