চেলা নদীর বালি মহাল নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০ সুনামগঞ্জ / 
সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের শাহ আরফিন গ্রামে চেলা নদীর বালি মহাল নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন ব্যক্তি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
প্রত্যাক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, চেলা নদীর বালি মহাল থেকে প্রতিদিন বালি উত্তোলন করতে গিয়ে বারকি নৌকার বালি শ্রমিকরা এলাকার লোকজনের বসত বাড়ির নিচ থেকে বালি উত্তোলনের ফলে বসত বাড়ি, মসজিদ, স্কুল সহ নানা স্থাপনা প্রতিনিয়ত নদীতে বিলিন হয়ে পড়ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন বিটা মাটি হারিয়ে উদবাস্তুের মত জীবন যাপন করছেন।৩০ আগষ্ট বুধবার দুপুরে শারফিন পাড়ার আব্দুস সালামের ছেলে ময়নুল হকের বসত বাড়ির নিচ থেকে বালি উত্তোলন করলে অপরপক্ষ একই ইউনিয়নের পূর্ব সোনাপুর গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে রুবেলের সাথে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রুবেল মিয়া ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র লাঠি সুটা রড পাইপ রামদা নিয়ে হামলা করে ময়নুল হকের লোকজনের উপর। উভয় পক্ষের সংঘর্ষে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শারফিন পাড়ার আব্দুস ছোবহান (৫২), আব্দুস সালাম (৬০), হোসাইন আহমদ (২৪), মোশাহিদ আলী (৬৫), আরব আলী (৫৫), কাবিল মিয়া (৪৫), ময়নুল হক (২২) স্থানীয় লোকজন আহতদের ঘটনাস্থল হতে উদ্ধার করে প্রথমে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করলে চিকিৎসকগণ তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।
১ নং ওয়ার্ড ইউ পি সদস্য ধন মিয়া জানান, বালি উত্তোলনের জন্য তাদেরকে সীমানা নিদিষ্ট করে দিলেও তারা সীমা অতিক্রম করে বালি উত্তোলন করে জোরপূর্বক এলাকার লোকজনের সাথে মারধর করে।
দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ বদরুল হাসান জানান, এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।