Opu Hasnat

আজ ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ২০২৪,

লোডশেডিংয়ের কবলে দিশেহারা দুর্গাপুরের কৃষক নেত্রকোনা

লোডশেডিংয়ের কবলে দিশেহারা দুর্গাপুরের কৃষক

নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলায় বোরো মৌসুমে বিদ্যুতের অভাবে সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। গড়ে পাঁচ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না তারা। এতে বোরো আবাদে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে এমনটাই দেখাগেছে।

এ নিয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার দুর্গাপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে বিভিন্ন জাতের ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা ১৭ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর। দিন-রাতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ না পাওয়ায় কৃষকেরা বোরো জমিতে সেচ দিতে পারছেন না বিদ্যুৎ পাওয়ার অপেক্ষায় সারাদিন জমিতে বসে থাকতে হচ্ছে। এভাবে চললে বোরো ধান ঘরে তুলতে পারবেন কি না, এ নিয়ে তারা শঙ্কিত। 

কৃষক আব্দুল হাকিম বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে গ্রামের সব কৃষকই বোরো আবাদ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে। রাতে অল্প বিদ্যুৎ থাকলেও দিনের বেলায় থাকে না বললেই চলে। যেটুকু সময় পাই কে আগে কার জমিতে পানি দিবে তা নিয়ে ঝামেলা পোহাতে হয়। গত চার দিনে আমি পাঁচ কাটা জমিও ভেঁজাতে পারেনি। 

কৃষক আব্দুল রমিজ উদ্দিন বলেন, আমরা কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। আমাদের অন্য কোনো কাজ নেই। এখন বিদ্যুৎ এর অভাবে সেচ দিতে পারছি না। চাষাবাদ না করতে পারলে পরিবার নিয়ে কষ্টে পড়তে হবে। বেশি সময় বিদ্যুৎ পেলে আমরা এ কষ্ট থেকে রক্ষা পেতাম।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, এবার বিভিন্ন জাতের ইরি-বোরা ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা ১৭ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর। এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার হেক্টরের মতো রোপন করা হয়েছে। তবে বিদ্যুতের অভাবে সেচ না দিতে পেরে কৃষকেরা চিন্তিত। রাত ১১টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখতে পারলে এবারও অত্র এলাকায় বোরো আবাদ বাম্পার ফলন হবে।

দুর্গাপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ দিলওয়ার হোসেন জানান, আমরা যতটুকু বিদ্যুৎ সরবরাহ পাই, ততটুকুই বিতরণ করি। চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ না পেয়েই আমাদের লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। অত্র উপজেলায় চাহিদার তিন ভাগের এক ভাগ দিতে পারছি মাত্র। বোরো মৌসুমে অস্বাভাবিক লোড শেডিং এর বিষয় ইতোমধ্যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছি।