Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা কুমিল্লা

বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা

কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার পয়ালগাছায়  বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা পেয়েছেন প্রায় ২২ শতাধিক মানুষ। বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন ও এ কে এম আবু তাহের ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এ চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার বরুড়া উপজেলার পয়ালগাছা কলেজে এই সেবা প্রদানের আয়োজন করা হয়। বেশিরভাগ দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষরাই এই সেবা গ্রহণ করেন। বিনামূল্যে ওষুধও বিতরণ করা হয়। এছাড়া চশমা দেওয়াসহ যাদের চোখের ছানি ও মাংস বৃদ্ধির সমস্যা রয়েছে, তাদেরকেও বিনামূল্যে অস্ত্রোপাচারের ব্যবস্থা করা হয়।

শুধুমাত্র বরুড়া উপজেলাই নয়- কুমিল্লার লাকসাম, লালমাইসহ বিভিন্ন উপজেলা, পাশের চাঁদপুর, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর থেকেও বরুড়া ছাড়াও আশেপাশের কয়েক উপজেলার মানুষজনও এই ক্যাম্পে আসেন সেবা নিতে। সকালে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ১২ জনের একটি বিশেষজ্ঞ টিম এখানে সেবা দিতে আসেন।  

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. সালেহ আহম্মেদের নির্দেশনায় চিকিৎসক দলটির নেতৃত্বে ছিলেন ডা. মো. রিপন আলী।

সকাল থেকেই পয়ালগাছা কলেজে উপস্থিত থেকে সেবা দেওয়ার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন এ কে এম আবু তাহের ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক জাকারিয়া তাহের সুমন।

জাকারিয়া তাহের সুমন বলেন, আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি মানুষ এখানে সেবা নিতে এসেছেন। আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন এখানে বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসার ব্যবস্থা করায় আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আশা করছি আগামীতেও এমন সেবামূলক কার্যক্রম আমরা যৌথ উদ্যোগে করতে পারবো।  

চিকিৎসক ডা. মো. রিপন আলী বলেন, বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. সালেহ আহম্মেদ স্যারের নির্দেশনায় আজকের এই কার্যক্রমটি পরিচালিত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে এতো বড় ক্যাম্প আর হয়নি আমাদের। বিপুলসংখ্যক মানুষের উপস্থিতি আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে।  বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। আমাদেরকে এখানে আনার জন্য ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন ও এ কে এম আবু তাহের ফাউন্ডেশনের সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।