মোরেলগঞ্জে সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের অসন্তোষ বাগেরহাট / 
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন গিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড. শাহ-ই আলম বাচ্চু। বুধবার (২৩ নভেম্বর) উপজেলার ৯৫নং বরইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে যান তিনি। ওইদিন পরিদর্শনে গিয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে ১১, চতুর্থ শ্রেণীতে ১৫, পঞ্চম শ্রেণিতে ৯ জন শিক্ষার্থী দেখতে পান।
উক্ত বিদ্যালয়ে ২০১২ সাল থেকে প্রধান শিক্ষকের পদটি শুন্য রয়েছে, ৫ জন সহকারী শিক্ষক কর্মরত রয়েছে তাহার মধ্যে সহকারী শিক্ষক নাসির হাওলাদার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
সরেজমিনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গিয়ে দেখতে পান গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ হইতে অব্যবদি ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত শিক্ষক নাসির হাওলাদারকে বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতায় কোন সাক্ষর দেখা যায়নি।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, অভি্যুক্ত শিক্ষক কতৃপক্ষকে না জানিয়ে কোন ছুটির অবেদন ছাড়াই নিয়ম নিতির তোয়াক্কা না করেই তিনি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত।
স্হানীয় সুত্রে জানা যায়, অভি্যুক্ত শিক্ষক নাসির হাওলাদার বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হয়ে বিভিন্ন তদবির নিয়ে ব্যস্হ থাকেন, এ সময়ে স্হানীয় কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে দেখতে পেয়ে শিক্ষক নাসির এর নানা অপকর্মের অভিযোগ তার কাছে তুলে ধরেন। উপস্থিত একাধিক অভিভাবক জানান, অত্র বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গত কয়েক বছর ধরে মাঝে-মধ্যে স্কুলে এলেও কিছুক্ষণ পর হাজিরা খাতায় সই করে চলে যান। মাঝে মাঝে হাজিরা খাতায় অগ্রিম সাক্ষর করে চলে যান। গত কয়েকমাস ধরে তিনি বিদ্যালয়টিতে অনুপস্থিত। ফলে বিদ্যালয়টিতে মানসম্মত শিক্ষা ভেস্তে যেতে বসেছে বলে ওই সব এলাকার অভিভাবকদের অভিযোগ।
সার্বিক পরিবেশ অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন, ফলে কোমলপ্রাণ শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। দেখলেই মনে হয় দীর্ঘদিন ধরে সেখানে কোন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি, বিদ্যালয়ে বরাদ্দকৃত সরকারি কোন টাকার হিসাব পাওয়া যায়নি। বিদ্যালয়টিতে নতুন কোন আসবাবপত্র দেখা যায় নি।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় বিদ্যালয় পরিদর্শনে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। অভি্যুক্ত শিক্ষক নাসির হাওলাদারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ সহ নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে। অত্র বিদ্যালয়টির শৃঙ্খলা এবং শিক্ষার মান ফেরাতে আমি উর্ধতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে যথাযথ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।