ফরিদপুরে ফুটবল খেলা নিয়ে অপরাজনীতি, বন্ধ হলো উদ্বোধন ফরিদপুর / 
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সহস্রাইল স্কুল মাঠে আয়োজিত ৮ দলীয় ফুটবল টূর্ণামেন্টের উদ্বোধনী খেলা স্থানীয় অপরাজনীতির কারনে বন্ধ হয়েগেছে। শনিবার বিকেলে ওই মাঠে গিয়ে দেখাযায়, সব আয়োজন থাকার পরও বন্ধ ঘোষনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম ও থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ. আব্দুল ওহাব। খেলা বন্ধ হওয়ায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। এলাকাবাসী বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে ঘটনাস্থলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশের একটি দল সকলের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
টূর্নামেন্টের আয়োজনের সাথে জড়িত কামরুল চৌধুরী জানান, শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে প্রায় দুইশত ছাত্র ও যুবকদের পক্ষ থেকে কাজী আবুল কালাম স্মৃতি ৮ দলীয় ফুটবল টুর্ণামেন্টের আয়োজন করা হয়। শনিবার এর উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিলো। তবে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এর পক্ষের লোকজন আরেকটি খেলার আয়োজন করে একই স্থানে। যা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, চেয়ারম্যান ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান খেলা বন্ধ করার পায়তারায় বিষয়টি এলাকার উত্তেজনার সৃষ্টি করে।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক রুমান মোল্যা বলেন, এটা মেনে নেয়া যায় না। সকল আয়োজন করার পর খেলা বন্ধ করা হলো। এর আগে ৩০ জুলাই তারিখ নির্ধারন করেও বন্ধ করা হয় তাদের জন্য। এভাবে গ্রাম্য খেলা নিয়ে যদি রাজনীতি হয় তাহলে গ্রামীন খেলা হয়তো সামনের দিন গুলোতে গ্রাম থেকে উঠে যাবে। আমরা প্রশাসনের কাছে যারা খেলা বন্ধের অপরাজনীতির সাথে জড়িত তাদের উপযুক্ত বিচার চাই।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামলীগের সাধারন সম্পাদক পিকুল মৃধা জানান, আমরা সারাদিন এলাকায় থেকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি খেলা হবে না। পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিয়ে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে আয়োজন করা হবে।
খেলা বন্ধের বিষয়ে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রাসেল রেজা বলেন, আমাদের বিষয়ে অভিযোগ সঠিক নয়। এটা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে বলে তিনি উড়িয়ে দেন।
বোয়ালমারী থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, একই খেলার মাঠে উভয় গ্রæপ খেলার আয়োজন করেন। আমরা জানতে পারি খেলাকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের সংঘর্ষ সৃষ্টি হতে পারে। তাই সংঘর্ষ ঠেকাতে আমি পুলিশ ফোর্স নিয়ে এসপি স্যারের নির্দেশে খেলাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন উপজেলা কর্মকর্তার কার্যালয়ে (শনিবার) সন্ধার পরে উভয় পক্ষের খেলার আয়োজকদের নিয়ে বসার কথা রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, একই মাঠে একই সময়ে দুই গ্রæপ খেলার আয়োজন করায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে খেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খেলা বন্ধ না করলে বড় ধরনের সংঘর্ষ হতে পারতো।