Opu Hasnat

আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪,

কুমিল্লায় ৫শত ৯ পরিবার পানিবন্দি কুমিল্লা

কুমিল্লায় ৫শত ৯ পরিবার পানিবন্দি

কুমিল্লায় বৃদ্ধি পেয়েছে গোমতীর পানি। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার দেবিদ্বার উপজেলায় গোমতী তীরবর্তী ৫০৯ পরিবার। তাদের উদ্ধার মাঠে কাজ করছে চারটি টিম।  

জানা যায়, উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের রঘুরামপুর, গঙ্গানগর ও পৌরসভার বড় আলমপুর এলাকার ওপর দিয়ে পানি যাচ্ছে। ইতোমধ্যে এসব এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

জাফরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও রঘুরামপুর এলাকার বাসিন্দা সোহরাব হোসেন  বলেন, গোমতীর পানিতে এলাকার অন্তত ৫০৯টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আমরা চেষ্টা করছি সবাইকে বাড়ি থেকে সরিয়ে নিরাপদ জায়গায় নিতে। গ্রামের সবাই এখন কাজ করছি। উপজেলা প্রশাসনও আমাদের সঙ্গে আছে।  

তিরি আরও বলেন, পানিবন্দিদের মধ্যে রঘুরামপুরের ৩০০, পৌরসভার বড় আলমপুর এলাকার ১৬২ ও গঙ্গানগরের ৪৭টি পরিবার রয়েছে। রঘুরামপুর এলাকায় উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দু’টি টিম, বড় আলমপুর এলাকায় পৌরসভার একটি টিম ও গঙ্গানগর এলাকায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয়দের সমন্বয়ে একটি টিম কাজ করছে। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কুমিল্লা থেকে একটি টিম পুরো এলাকার কোথাও বেঁড়িবাধের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে কিনা দেখাশোনা করছে।

দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ ইউনিয়নগুলোতে সোমবার (২০ জুন) রাত ৯-১১টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা মাইকিং করা হয়েছে। মাইকিং কওে সবাইকে জানিয়ে দেয়া হয়, গোমতীর বেড়িবাঁধের কোথাও কোনো ইঁদুরের গর্ত দিয়েও পানি ঢোকে সে বিষয়টিও কর্তৃপক্ষকে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে। এরপর রাতে একটি এলাকায় সংস্কার কাজ করা হয়েছে।  

দেবিদ্বার ইউএনও মো. আশিক উন নবী তালুকদার বলেন, উপজেলার লক্ষীপুরের চাঁনপুর অংশ ঝুঁকিপূর্ণ, তাই সেই এলাকার মানুষদের সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। আমাদের কাছে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা আছে। যদিও এখনও কোনো সংকট দেখা দেয়নি। এর বাইরে, আমরা বড় আলমপুর এলাকার শিবনগর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গঙ্গানগর এলাকার জন্য বিষ্ণুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রঘুরামপুরের একটু মাদরাসার ভবন ও জাফরগঞ্জ সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় পস্তুত করেছি। মোট কথা আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।