সৈয়দপুরে পার্কে উপচেপড়া ভিড় নীলফামারী / 
নীলফামারীর সৈয়দপুরে বেসরকারিভাবে গড়ে উঠেছে তিনটি বিনোদন পার্ক। এগুলো হচ্ছে রংধনু পার্ক, থিম পার্ক ও পাতাকুঁড়ি পার্ক। এসব বিনোদন পার্কে নারী-পুরুষ ও শিশুদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। সকাল থেকে রাত অবধি এসব পার্ক খোলা থাকায় চিত্ত বিনোদনের চাহিদা মেটাচ্ছে তাদের। শহর ও আশেপাশে এসব পার্ক গড়ে উঠায় সহজ যোগাযোগের কারণে সব শ্রেণির মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন পার্কগুলোতে। ঈদের আনন্দে কাটছে তাদের সারাদিন।
সৈয়দপুর শহরের কুন্দল এলাকায় মহাসড়কের পাশে দ্বীপের মতো এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে রংধনু পার্ক। শিশুদের মনোরঞ্জনের সেখানে যথেষ্ঠ ব্যবস্থা রয়েছে। কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছে পশু-পাখিসহ নানা স্থাপনা। কিছু সময়ের জন্য অনেকে হারিয়ে যান সেখানে। পার্ক ঘুরতে আসা কলেজছাত্রীগণ জানান, পার্কের পরিবেশ খুবই ভালো। রাইডের দামও তুলনামূলকভাবে কম। ফলে অনেক শিশু-কিশোর এসব রাইডে চড়তে পারছেন।
শহরের ভেতরে রসুলপুর এলাকায় ছোট্ট পরিসরে গড়ে উঠেছে থিম পার্ক। এ পার্কে খেলাধূলার নানা আধুনিক সরঞ্জাম রয়েছে। সেই সাথে এখানে পিকনিকের ব্যবস্থাও করা যায়। ছিমছাম এবং মনোরোম পরিবেশে এই পার্কটি ইতোমধ্যে সকলের নজর কেড়েছে। বিভিন্ন সভা-সমাবেশ সেমিনার এই পার্কে হয়ে থাকে। পার্কে কথা হয় দিনাজপরের চিরিরবন্দর এলাকা থেকে পার্কে ঘুরতে আসা শাপলা ও তারেক দম্পতির সাথে। তারা জানান, একমাত্র সন্তান ফারদিনের (৫) ইচ্ছানুযায়ী পার্কে ঘুরতে আসা। বাবুটা অনেক আনন্দ পেয়েছে। তাদেরও ভালো লেগেছে, ভবিষ্যতে তারা আবারও আসবেন বলে জানালেন।
শহরের একটুখানি বাইরে সৈয়দপুর বাইপাস সড়কে গড়ে উঠেছে পাতাকুঁড়ি বিনোদন পার্ক। এটি প্রতিষ্ঠা করেন বিশিষ্ট ঠিকাদার ও জাতীয় পার্টির পৌর শাখার অন্যতম নেতা জয়নাল আবেদীন। এখানে কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছে বাঘ, ভল্লুকসহ বিভিন্ন জীবজন্ত। আছে পুকুরে নৌকা ভ্রমনের সুযোগ। এই পার্কটি বেশ ভালোই চলছে বলে জানান পার্ক কর্তৃপক্ষ। সব মিলিয়ে সৈয়দপুরের তিনটি বিনোদন পার্ক দর্শকদের হৃদয় টানছে। করোনাকালে প্রায় ২ বছর বন্ধ থাকার পর এসব বিনোদন পার্ক চালু হওয়ায় পার্ক মালিক, কর্মচারী ও দর্শকদের মাঝে আশার সঞ্চার জেগেছে।
পাতাকুঁড়ি পার্কের মালিক জয়নাল আবেদীন জানান, করোনাকালে পার্কের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসিয়ে বেতন-ভাতা দিতে হয়েছে। কাউকে ছাটাই করা হয়েছে। ঈদের কারণে পার্কের নষ্ট জিনিসপত্র মেরামত করে ব্যবহার উপযোগি করে তোলা হয়েছে। আশাকরি, এভাবে ব্যবসা চললে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবো।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম হুসাইন জানান, স্থানীয় এসব বিনোদন পার্ক কিছুটা হলেও মানুষের চিত্ত বিনোদনের চাহিদা মেটাচ্ছে। সরকারি নিয়মনীতি অনুযায়ী ও নীতি নৈতিকতা মেনে পার্কগুলো চলছে কিনা তা তদারকি করছে উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন।