দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে ঘরমুখো মানুষের ভীর রাজবাড়ী / 
ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভীর তৈরি হয়েছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে। ফেরি ঘাটেও রয়েছে অন্তত ৩ কিলোমিটার এলাকা জুরে যানবাহনের লম্বা সাড়ি। এদিকে বুধবার দিবাগত রাত ১২ টা থেকে পন্যবাহি ট্রাক পারাপার বন্ধ করা হলেও ফেরিতে পার করা হচ্ছে পচনশীল পন্যবাহি ট্রাক ও যাত্রিবাহি বাস।
শিমুলিয়া মাঝিরকান্দি নৌরুটে কম ফেরি চলায় দুই নৌরুটের বেশির ভাগ যানবাহন এই নৌরুট দিয়ে পারাপার করায় এমন পরিস্থিতি কাটছে না বলে মনে করছেন ঘাট সংষ্টিরা।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা খুলনা মহা সড়কের দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে দৌলতদিয়া মডেল হাই স্কুল পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এলাকায় এক সাড়ি যাত্রিবাহি বাস অন্য সাড়িতে পচনশীল পন্যবাহিসহ অন্তত ৩ শত যানবাহন পারের অপেক্ষায় আটকে পরে।
অপরদিকে, লঞ্চ ঘাটে ছিলো উপচে পড়া ভীর। প্রতিটি লঞ্চেই ধারন ক্ষমার দ্বিগুন যাত্রি পারাপার করতে দেখা মিলেছে। সেই সাথে দেখা মিলেছে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তাদের তৎপরতাও। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লঞ্চে আসা যাত্রিদের ব্যাগ ছোট ছোট বাচ্চাদের নামতে সহযোগিতা করছেন।
এ সময় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজবাড়ীর স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ সনাজ মিয়া বলেন, মানুষ যাতে ভালো ভাবে বাড়িতে যেতে পারে নৌপথে কোন দুর্ঘটনা না হয় সেজন্য আমরা মাইকিং করছি। বারবার বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি ধারন ক্ষমতার বেশি যাত্রি পরিবহন না করতে।
দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের ম্যানেজার মোঃ মিলন মিয়া বলেন, দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে লঞ্চগুলো একেবারেই খালি ছেড়ে যাচ্ছে। ওই পার মানে পাটুরিয়া ঘাট থেকে যাত্রিরা কোন বিধি নিষেধ না মেনেই হুরোহুরি করে উঠে পরছে। তবে নদীতে তেমন ঝামেলা নেই যে কারনে যাত্রি একটু বেশি হলেও ঝুকি কম বলে দাবী করেছেন তিনি।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান জানান, ঈদ উপলক্ষ্যে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ২ টি ফেরি বৃদ্ধি করা ২ হয়েছে। এই নৌরুটে বর্তমানে ২০ টি ফেরি দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে।
আর ঘাট পরিদর্শনের এসে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান জানান, ঈদযাত্রায় পারাপার নির্বিঘ্ন করতে, যাত্রি হয়রানি বন্ধে ঘাটে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। যারা চুরি ও ছিনতাই এর সাথে জরিত তাদের বেশির ভাগই বর্তমানে জেলে রয়েছে। বাকিরা নজরদারির মধ্যে আছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি সুন্দর ঈদযাত্রা উপহার দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।