Opu Hasnat

আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪,

মানুষের জন্য কিছু করতে চাই : ড. যশোদা জীবন ফরিদপুর

মানুষের জন্য কিছু করতে চাই : ড. যশোদা জীবন

আমি আমার নিজ জেলার হত দরিদ্র-অসহায় মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। অনেকের অনেক চাওয়া থাকে বিশ্বাস করেন আমার কোন চাওয়া নেই। এর জন্য সুযোগ পেলেই ছুটে চলে আসি ঢাকা থেকে নিজ জেলার নিজ গ্রামে। আমার নিজ অর্জনের একটা অংশের মালিক এই মানুষ গুলো তাদের চাওয়া পাওয়া সবার আগে আমার কাছে। বিশ্বাস করেন এর ভিতর নেই কোন রাজনীতি, নেই কোন চাওয়া পাওয়ার হিসাব। আমি জানি সমালোচনাকারীরা ও নিন্দুকেরা অনেক কথা বলতে চাই বা বলবে কিছুই আসে যায় না আমার কাজ দেখে। আমি এই সব মানুষের মুখের ছবি যখনই চোখের সামনে চলে আসে তখনই ছুটে চলে আাসি বা আসবো। একান্ত আলাপচালিতায় এমনই কথা গুলো বলছিলেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এর পরিচালক, টেকনো মিডিয়া লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও বেঙ্গল ব্যাংকের পরিচালক সিআইপি ড. যশোদা জীবন দেবনাথ।    

তিনি আরো বলেন, আমি আমার এলাকার উন্নয়নে জন্য আজীবন কাজ করে যেতে চাই। এলাকার উন্নয়নে যা যা করতে হয় আমি তাই করবো। তিনি বলেন ফরিদপুরের সাথে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব ভালো হবে পদ্মা সেতুর উদ্ধোধনের মধ্যে দিয়ে। আর তখন থেকে আমি আমার নিজের এলাকায় মিল-কারখানা করবো।

আমি এ এলাকায় মিল কারখানা করলে এখানকার মানুষের কর্মের সংস্থান হবে। এতে এলাকা উন্নত হবে যেমন, তেমনি বেকার ভাই বোনদের কর্মের সংস্থান হবে। তিনি আরো বলেন আমাদের কাছে আপনাদের অধিকার আছে। এটা আপনাদের হক। আর আমিও আপনাদের জন্য কিছু করতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করবো।  

এদিকে তার নিজ জেলা ফরিদপুরের মানুষের জন্য গত ১০ থেকে ১৫ বছর যাবত নিজ তহবিল থেকে অকাতরে মানুষকে সহযোগিতা করে চলছেন ড.যশোদা জীবন। তার কাছে দরিদ্র অসহায় মানুষ ছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের স্কিল উন্নয়নে স্কুল-কলেজে কম্পিউটার ল্যাব, বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতা, ক্রীড়া কর্মে অংশগ্রহন সহ নানা ভাবে আর্থিক সহযোগিতা করে চলছেন তিনি। প্রতি সপ্তাহে তিনি ছুটে আসেন নিজ জেলা ফরিদপুরে। তার দানের কথা তুলনা করে জেলার বাসিন্দারা তাকে দানবীর বলে থাকেন।

এ বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের জেলার এক নেতা বলেন, তার মতো মানুষ হয়না। তার কাছে কোন ভালো কাজ নিয়ে গেলে কাওকে খালি হাতে ফিরতে হয়না। তার কোন চাওয়া পাওয়া নেই। তিনি মানুষের জন্য কিছু করতে চান। যেখানেই সমস্যা হয় সেই সমস্যা তার কাছে জানালে তিনি তরিত ভাবে ব্যবস্থা নিয়ে সমস্যার সমাধান করেন সেই কাজে। ছোট বেলায় আর্থিক কষ্টে মানুষ হওয়ায় তিনি অসহায় মানুষের কথা যতো ভালো ভাবে অনুধাবন করেন তা আর কেও করেন না। আমরা তার সার্বিক মঙ্গল কামনা করি।

সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফকির মোঃ বেলায়েত হোসেন বলেন, অসাধারন মানুষ জীবন দাদা। অনেকের অনেক চাওয়া পাওয়া থাকে তার কোন চাওয়া পাওয়া নেই। তিনি শুধু মানুষের জন্য কিছু করতে চান। এই দ্যান ধ্যান করতে গিয়ে অনেক কথা তার শুনতে হয়। অনেকে তাকে বিভিন্ন দলে ভাগ করেন। আমরা ছোট বেলা থেকে তাকে চিনি। তার কোন দল দেখেনি। তাকে শুধু মানুষের জন্য কিছু করতে দেখেছি। এমন মহৎ উদার মন মানুষিকতার মানুষ খুব কম দেখা যায় এ জগতে।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য, বাংলাদেশ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাষ্টিজের পরিচালক আলহাজ¦ মোঃ খায়ের মিয়া বলেন, তাকে যত দেখি ততই অবাক হই। এমন মহৎ উদার মন মানুষিকতার মানুষ হতে পারে কিভাবে। আমি আর দাদা একই এলাকার মানুষ তিনি দল মতের উর্দ্বে উঠে সব সময় কাজ করতেন। এখনও তিনি সময় সুযোগ পেলে ঢাকা থেকে ছুটে আসেন নিজ জেলার মানুষের কাছে। তার একটাই লক্ষ্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্রের ঘোষনা সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সঙ্গী হয়ে কাজ করে দেশকে আধুনিক উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত করতে প্রধানমন্ত্রীর সাথে একজন সৈনিক হয়ে কাজ করা।