Opu Hasnat

আজ ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ২০২৪,

কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাড়ে তিন বছর পর সিজার শুরু নড়াইল

কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাড়ে তিন বছর পর সিজার শুরু

নড়াইলের কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাড়ে ৩ বছর বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) প্রসুতি মায়েদের সিজারিয়ানের মাধ্যমে সন্তানের জন্মদানের কাজ শুরু হয়েছে। এতে করে উপজেলার প্রসুতি মায়েদের চিকিৎসাসহ সিজারিয়ান সমস্যা দুর হওয়াসহ প্রসুতি মায়েদের চিকিৎসা সেবা নিয়ে রোগীসহ পরিবারের ভোগান্তি অনেকাংশে লাঘব হবে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানা যায়, অপররেশান থিয়েটার ব্যবহারের অনুপয়োগী হয়ে পড়া, আবেদনবিদ (এ্যনেসথিসিয়া) চিকিৎসক ও গাইনী  বিশেষজ্ঞের পদ শূন্য থাকার কারণে গত ২০১৮ সালের জুলাই মাসের দিকে হাসপাতালটির অপারেশন থিয়েটার বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে এ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসকের পদ পুরণ হলেও গাইনী বিশেষজ্ঞের পদটি এখনও শুন্য রয়েছে। তবে জনগুরুত্ব বিবেচনা করে বিশেষ ব্যবস্থায় সিজারিয়ানের কাজটি শুরু করা হয়েছে। একটানা সাড়ে ৩ বছর স্থানীয় রোগীরা সরকারি হাসপাতালের এ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত ছিল। সেবাটি চালু হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

মঙ্গলবার দুপুরের দিকে উপজেলার নয়নপুর গ্রামের ফাতেমা বেগম (২০) কে সিজার করা হয়। ফাতেমা ও  তার স্বজনরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরে প্রসুতি মায়েরা চিকিৎসা সেবা নেয়াসহ সিজারিয়ান নিয়ে নানা সমস্যা ও দূর্ভোগের শিকার হয়েছেন তারা। গত ৩ বছরেরও বেশী সময় ধরে প্রসুতি মায়েদের সিজারিয়ানসহ সুচিকিৎসার জন্য উপজেলার প্রায় ৬ লক্ষাধিক মানুষকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। কালিয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েও সুষ্ঠ চিকিৎসার জন্য প্রসুতি মাকে নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ,নড়াইল সদর হাসপাতাল ও পার্শ্ববর্তী গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন অখ্যাত ও নাম সর্বস্ব ক্লিনিকে ছুটতে হয়েছে।                   

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.কাজল মল্লিক বলেন, হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারটি মেরামতসহ একজন এ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ আসায় নড়াইল সদর হাসপাতাল থেকে একজন গাইনী বিশেষজ্ঞের ব্যবস্থায় প্রসুতি মায়েদের সিজারিয়ান চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে।