কালকিনিতে বিজয়ী চেয়ারম্যানকে ভোট না দেয়ায় হামলা, মহিলাসহ আহত ৪ মাদারীপুর / 
মাদারীপুরের কালকিনিতে ইউপি নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ভোট না দেয়ায় রতন বেপারী (৬০) নামে এক বৃদ্ধ কৃষকের বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় তাদের বাঁধা দিলে মহিলাসহ ৪জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বৃহস্পতিবার ভোরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ও এলাকা সুত্রে জানাগেছে, গত ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে উপজেলার লক্ষিপুর ইউপিতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজীকে হারিয়ে বিজয় লাভ করেন সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুল হক বেপারীর স্ত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী মৌসুমি হক সুলতানা। কিন্তু এ নির্বাচনে তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজী হেরে যাওয়ার পর তার সমর্থক চরজগমন গ্রামের রতন বোপারী ওই দিন রাতেই হামলার ভয়ে এলাকা ছেড়ে ঢাকা চলে যান। তিনি ঢাকা থেকে গত মঙ্গলবার খাসেরহাট তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সাথে নিয়ে বাড়ি ফেরেন। কিন্তু তার বাড়ি ফেরার এ খবর পেয়ে বিজয়ী চেয়ারম্যান মৌসুমি হক সুলতানার কর্মী তমি বেপারী ও শফি বেপারীর নেতৃত্বে প্রায় ২০/২৫ জন মিলে দেশী অস্ত্র নিয়ে গেন্দু কাজীর সমর্থক রতন বেপারীর বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর চালায়। এসময় তাদের বাঁধা দিলে রতন বেপারী (৬০), দশম শ্রেনীর ছাত্রী শামীমা (১৫), শাহিনুর (৪০) ও খাদিজা খানম (১৮) আহত হন।
ভুক্তভোগী রতন বেপারী জানান, আমি ভোট দিয়েছিলাম গেন্দু কাজীকে। এ অপরাধে হামলার ভয়ে আমি দীর্ঘদিন বাড়ি ছেড়ে আমি ঢাকা ছিলাম। কিন্তু আমি বাড়ি ফেরার খবর পেয়ে মৌসুমির লোকজন হামলা করেছে। আমার মত পলাতক অনেক মানুষ এখন রয়েছে তারা এলাকায় আসতে পারেনা।
অভিযুক্ত শফি বেপারীর স্ত্রী নাছিমা বেগম বলেন, আমার স্বামী শফি চেয়ারম্যান মৌসুমির স্বামী ফজলু বেপারীর সাথে দল করে। সাবেক চেয়ারম্যান গেন্দু কাজী যখন চেয়ারম্যান ছিল তখন আমরা ও অনেক নির্যাতিত হয়েছি। মুলত নিয়েই এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে খাসেরহাট তদন্ত কেন্দ্রের উপ পরিদর্শক (আইসি) এমদাত হোসেন বলেন, তেমন কিছু হয়নি। দুই পক্ষকেই মিমাংশা করে দেয়া হয়েছে।