Opu Hasnat

আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪,

ভেজাল খেজুরের গুড়ে এখনই সৈয়দপুরের বাজার সয়লাব! নীলফামারী

ভেজাল খেজুরের গুড়ে এখনই সৈয়দপুরের বাজার সয়লাব!

এখনো শুরু হয়নি পুরোপুরি শীতের মৌসুম। ইতিমধ্যেই ভেজাল পাটালি ও খেজুরের গুড়ে সয়লাব হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুর বাজার। বিভিন্ন জেলা থেকে এসব গুড় এনে  বাজারজাত করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মৌসুমের আগেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে শীতের পিঠা বিক্রি। এতে চাহিদা বাড়ায়  বেড়েছে পাটালি ও খেজুরের গুড়ের। উপজেলাতে গুড় ব্যবসায়ী রয়েছে প্রায় ২১ জন। বেশি লাভের জন্য শীত মৌসুমের আগেই নাটোর ও রাজশাহী থেকে ভেজাল পাটালি ও খেজুর গুড় কিনে আনছেন তাঁরা। নিম্নমানের ঝোলা ও নরম গুড়  গলিয়ে তাতে চিনি, রং, হাইড্রোজ, সোডা, ফিটকিরি, পাথুরে চুন ও বিশেষ গাছের ছালের গুঁড়া দিয়ে গুড় তৈরি করা হয় এসব গুড়। গুড়ের চাহিদা ও উৎপাদন খরচ পুষিয়ে নিতে প্রতি ১০ লিটার রসে দুই কেজি চিনি মেশানো হয়। গুড়ের রং ফর্সা ও গুড় শক্ত করতে মেশানো হয়  চিনি। এই গুড়ে প্রকৃত স্বাদ-গন্ধ থাকে না। এই গুড় প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শহীদ ডা: জিকরুল হক রোডের গুড় ব্যবসায়ী সিয়াম আহমেদ জানান, আমরা বাইরে থেকে পাইকারী দরে গুড় কিনে এনে বিক্রি করছি। ভেজালের বিষয়টা  জানা নেই।

গুড় কিনতে আসা  শাজানাজ পারভীন নামে এক গৃহীনি বলেন, বাজারে খেজুরের গুড় দেখলাম তাই ছেলমেয়ের পিঠা খাওয়ানোর জন্য কিনলাম।

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিব) সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি ডা. শেখ নজরুল ইসলাম বলেন, যদি এসব গুড়ে ক্ষতিকারক  কেমিক্যাল মেশানো হয়ে থাকে তবে তা  হার্ট, কিডনিসহ স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নীলফামারীর সহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দীন বলেন, বাজারে  অভিযান পরিচালনা করে ভেজাল গুড় বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।