Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

কালিয়া নির্বাচন অফিসে ঘুষ ছাড়া কাজ হয়না, অভিযোগ ভূক্তভোগীরে নড়াইল

কালিয়া নির্বাচন অফিসে ঘুষ ছাড়া কাজ হয়না, অভিযোগ ভূক্তভোগীরে

নড়াইলের কালিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে টাকা ছাড়া কোন কাজ হয়না বলে অভিযোগ উঠেছে। নতুন ভোটার হওয়া সহ নানা কাজে ওই অফিসে আসা ভূক্তভোগীদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে সেবা দিয়ে থাকেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বর্তমানে উপজেলায় নতুন ভোটার অন্তর্র্ভূক্তির কাজ চলছে।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায়, আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে কালিয়া উপজেলায় নতুন ভোটার অন্তর্ভূক্তির কাজ চলমান রয়েছে। ভোটার তালিকায় নাম লেখাতে অনলাইনে আবেদনের পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সপ্তাহের প্রতি বুধবার আবেদনকারিদের ছবি তোলা ও আঙ্গুলের ছাপ নেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ভোটার স্থানান্তর, তথ্য সংশোধনের কাজ চলছে। উপজেলার শীতলবাটি গ্রাম  থেকে স্ত্রীকে ভোটার তালিকায় নাম লেখাতে গত বুধবার নির্বাচন অফিসে এসেছিলেন রানা ফকির।

উপজেলা নির্বাচন অফিস চত্ত¡রে দাড়িয়ে রানা ফকির সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, তার স্ত্রী সামিয়া খানমকে নতুন  ভোটার করতে অনলাইনে আবেদন করেছেন। তাই নির্ধারিত দিনে কাগজপত্র নিয়ে ছবি তুলতে ও আঙ্গুলের ছাপ দিতে এসেছিলেন। তার কাগজপত্র ঠিক থাকলেও ছবি তোলার কাজে নিয়োজিতরা তার কাছে ৫শ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে না পারায় তারা ফেরত দিয়েছে। পরে সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপে তার স্ত্রীর কাজটি সম্পন্ন হয়েছে।

উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের মহিদ শেখের স্ত্রী ফরিদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, তার পুত্রবধুর ভোটার স্থানান্তর করার জন্য আবেদন করা হয়। দীর্ঘদিন ঘুরিয়ে ওই অফিসের পিয়ন ১ হাজার টাকার বিনিময়ে কাজটি করে দিয়েছেন। উপজেলার কলাবাড়িয়া গ্রামের সাদ্দাম বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, নতুন ভোটার হতে ওই দিন নির্বাচন অফিসে ছবি তুলতে গেলে কাগজপত্র সঠিক থাকার পরও সেগুলো জমা নিতে ও তার কাছ থেকে ছবি তোলা ও আঙ্গুলের ছাপ ধারনকারিরা ২শ টাকা নিয়েছে।

উপজেলা নির্বাচন অফিসের পিওন মির্জা মোহাম্মাদ আলী ওইসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সুজন কুমার বিশ্বাস বলেন, সিরিয়াল রক্ষার জন্য ম্যাসেজ প্রয়োজন হয়। তার দপ্তরে কেউ অভিযোগ করেনি। তারপরও খোঁজ খবর নিয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান। নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদনকারিদের ছবি তোলা ও আঙ্গুলের ছাপ নেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের কোন বার্তা পাওয়ার নিয়ম আছে কি-না ? জানতে চাইলে নড়াইল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা  মো. ওয়ালিউল্লাহ বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে ওই অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারিদের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার ব্যাপারে প্রমানসহ তাঁর কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ করতে পরামর্শ দেন।