Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

সম্মাননা দিয়ে প্রতিষ্ঠাতা সিজুল ইসলামকে বিদায় জানালো হিমালয়কন্যা থিয়েটার পঞ্চগড়

সম্মাননা দিয়ে প্রতিষ্ঠাতা সিজুল ইসলামকে বিদায় জানালো হিমালয়কন্যা থিয়েটার

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বলরামহাটের হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ডের সেমিনার হলে শুক্রবার বিকালে সম্মাননা প্রদানের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাতা ও সদ্য সাবেক সভাপতি সিজুল ইসলামকে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করে হিমালয়কন্যা থিয়েটার। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ধনেশ চন্দ্র বর্মন। সাধারণ সম্পাদক অনিল চন্দ্র শর্মার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রত্যাশা ২০২১ ফোরামের দপ্তর সম্পাদক রাইসুল ইসলাম রিপন, হিমালয়কন্যা থিয়েটারের সাংগঠনিক সম্পাদক সুকুমার চন্দ্র, দপ্তর সম্পাদক জাহিদ হাসান, অর্থ সম্পাদক মোনালিসা আক্তার আইরিন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রায়হান কবির, অনুষ্ঠান ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক নয়ন সরকার, কার্যনির্বাহী সদস্য শেখ মাসুকুর রহমান শিহাব, পূজা রাণী, শামিম ইসলাম, রবিউল ইসলাম। 

আলোচকরা বলেন, একজন সিজুল ইসলাম আমাদের মাঝে গ্রাম থিয়েটারের আদর্শের আলো জ্বালিয়ে গেলেন। আমাদের উচিত সেটিকে জ্বালিয়ে রাখা। বগুড়ার এই নাট্যকর্মী জাপান ভিত্তিক স্বেচ্ছাব্রতী সংস্থা হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড বোদা পঞ্চগড়ের প্রোগ্রাম অফিসার (ম্যানেজমেন্ট) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বদলিজনিত কারণে তিনি ঈদপর পঞ্চগড় অফিস থেকে ঢাকা অফিসে যোগদান করতে যাচ্ছেন। থিয়েটারকর্মীরা তাঁর ভবিষ্যত কর্মময় জীবনের কল্যাণ কামনা করেন। সেইসাথে যে যোগসূত্র তৈরি হলো সেই সম্পর্ক ধরে থাকার অনুরোধ করেন।

স্মৃতিচারণ শেষে প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি সিজুল ইসলামকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। সংগঠনের সদস্যরা তাঁকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন। এরপর সম্মাননার অর্থ, উপহার এবং গামছাসহ ফুলেল শুভেচ্ছা জানান থিয়েটারকর্মীরা। সম্মাননা পাওয়ার পর সিজুল ইসলাম বলেন, পঞ্চগড়ে আড়াই বছরের কর্মজীবন শেষে আজকে যে সম্মাননা পেলাম সেটিই আমি অর্জন হিসেবে নিয়ে যাচ্ছি। হিমালয়কন্যা থিয়েটার বেঁচে থাকলে আমিও বেঁচে থাকবো আপনাদের ভালবাসায়। হাতের মুঠোয় হাজার বছর আমরা চলেছি সামনে এই স্লোগানকে বুকে ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে দেশীয় সংস্কৃতি চর্চা করতে হবে। আপনাদের নিয়ে থিয়েটার গঠনের পর খুব চেষ্টা করেও একটি নাটক মঞ্চায়ন করতে পারিনি নানা সীমাবদ্ধতার কারণে। নাটকের মহড়া করেও শেষ সময়ে এসে মঞ্চায়ন করতে পারিনি। ভবিষ্যতে গ্রাম থিয়েটারের সংগঠকরা এখানে এসে কর্মশালা করানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আপনারা নাটক মঞ্চায়নে উদ্যোগী হবেন। আমি হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড পরিবারের সকলকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তাদের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এই সংগঠন দাঁড় করানো সম্ভব হতোনা। আমরা যেন সবসময় হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ডের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন হিসেবে কাজ করি। এই আহবানটুকু রাখতে চাই। গ্রামের মানুষের সাংস্কৃতিক উন্নয়নটাও খুবই জরুরী। আর আমার কর্মকালীন সময়ে পঞ্চগড়বাসীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই তাঁরা আমাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। বগুড়ার পর পঞ্চগড় আমার দ্বিতীয় বাড়ি। সবাই ভাল থাকবেন দোয়া করবেন।

এরপর নেচে গেয়ে সম্মাননা প্রদানের মধ্য দিয়ে বিদায়ী আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে থিয়েটারকর্মীরা।