Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

মোরেলগঞ্জে লগডাউনেও স্বাস্থ্যবিধি মানছে না ক্রেতা বিক্রেতারা বাগেরহাট

মোরেলগঞ্জে লগডাউনেও স্বাস্থ্যবিধি মানছে না ক্রেতা বিক্রেতারা

করোনা ভাইরাসের কারণে সারা দেশে লগডাউন চলাকালীন দোকান-পাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। ১৬ মে পর্যন্ত লগডাউন বর্ধিত করা হলেও ঈদকে সামনে রেখে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে কতিপয় নির্দেশনা সহ সীমিত আকারে এগুলো খুলে দেয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সারাদেশের ন্যায় বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জেও গার্মেন্টস দোকান, বিপনী বিতান সহ সব ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে  মোরেলগঞ্জ বাজারে স্বাস্থ্য বিধির তোয়াক্কা করছেন না ক্রেতা-বিক্রেতার কেউ-ই। এতে করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে।
 
সরেজমিনে এসব মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, স্বাস্থ্য বিধি না মেনে বেচা-কেনা করছে ব্যবসায়ীরা। সামাজিক দুরত্ব না মেনে দোকানে পাশাপাশি বসে পোশাক কিনছেন সাধারণ ক্রেতারা। অনেক দোকানে মাস্ক ও হ্যান্ডগ্ল্যাভস পরছেন না ক্রেতারা।

পোশাক কিনতে আসা সাধারণ ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন মার্কেট বন্ধ থাকায় দীর্ঘদিনের প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই কিনতে পারেননি। এ কারণে ঈদের মার্কেটে অত্যধিক ঝুঁকি থাকা সত্বেও বাধ্য হয়ে বাজারে এসেছেন নিজের ব্যবহারি কিছু মালামাল কিনতে।

গত ২৮ এপ্রিলে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের এক চিঠিতে বলা হয়েছে যে, দোকানপাট/শপিংমল সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে খোলা রাখা যাবে। বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন । সীমিত আকারে বলা হলেও পুরোদমে চলছে দোকান পাট। প্রতিদিন সকাল ১০টার আগেই সকাল ৮ টা থেকে রাত ৮ টার পরিবর্তে গভীর রাত পর্যন্ত কাপড়ের মার্কেট, জুতা স্যান্ডেল ও কসমেটিকস কিনতে ভিড় করছে নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। বাজার মনিটরিং করতে দেখা যাচ্ছে না কাউকেই।

বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, দীর্ঘদিন বেচাকেনার তেমন সুযোগ না থাকাতে ঈদকে সামনে রেখে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। প্রশাসন মাঠে থাকলে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

সামাজিক দুরত্ব বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, বার বার বলা সত্বেও ঈদের আগে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। বাজার কমিটির সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।