দুর্গাপুরে জোড়পূর্বক ধান কাটার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন নেত্রকোনা / 
জেলার দুর্গাপুর উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রামের মোঃ জলিল তালুকদার ও তার স্ত্রী মোছাঃ আনোয়ারা বেগমের জমির পাকা ধান জোড়পূর্বক কেটে নিয়ে যায় একই গ্রামের মৃত উসমান গনির পুত্র মোঃ শাখাওয়াৎ হোসেন হারুন ও তৎ ভ্রাতা গণ। এরই জেরে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ নিয়ে বুধবার বুধবার দুপুরে মৃত মোঃ জলিল তালুকদার ও তার স্ত্রী মোছাঃ আনোয়ারা বেগমের পক্ষে তাদের ছেলে মোঃ আশরাফ হোসেন শাহীন লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার বাবা ও মায়ের নামে ১৯৯১ ও ১৯৯২ সনে মোট সাত একর আট শতক জমি সাফ কাওলা দলিলমুলে খরিদ করা হয়েছিল। যার এস এ খতিয়ান ১৭৬ ও ১৫৫ এবং বি আর এস খতিয়ান- ৯৮৫ ও ৫৮৪ দলিল নং- ৩৮৪১, ৪৩১৬ ও ৩৮৪০। আমার পিতা জীবিত থাকাকালীন সময়ে উক্ত জমি ভোগ দখলের ক্ষেত্রে কেহ কোনদিন বাধা সৃষ্টি করে নাই। গত ২০১৯ ইং সনে আমার পিতার মৃত্যুর পর এলাকায় ভুমি দস্যু হিসেবে পরিচিত একই গ্রামের বাসিন্দা মৃত উসমান গনির পুত্র মোঃ শাখাওয়াৎ হোসেন হারুন ও তৎ ভ্রাতা গণ আমার পিতা-মাতার জমি বেদখলের পায়তারা করছে। গত ২৮ এপ্রিল ২০২১ ইং তারিখে আমাদের জমিতে ধান কাটতে গেলে সাখাওয়াৎ হোসেন গং তারা দেশীয় অস্ত্রসহ আমাদেরকে বাঁধা দিলে আমরা প্রানের ভয়ে ধান কাটা ফেলে রেখে বাড়ীতে ফিরে আসি। পরবর্তীতে উক্ত বিষয়ে দুর্গাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও আজ পর্যন্ত বিষয়টি কোন সুরাহা হয়নি। উপরোন্ত এই সুযোগে উল্লেখিত ভুমি দস্যুরা আমাদের সমস্ত জমির ধান কেটে নিয়ে জমি দখলের উদ্যেশ্যে হুমকি প্রদান করে যায়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জমির মালিক শাহীনের মা আনোয়ারা বেগম, ভাই মাছুম মিয়া, রুবেল মিয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ আবুল হাসেম, উপজেলা শ্রমিকলীগ এর সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ ও সাধারন সম্পাদক মোঃ খোকন মিয়া প্রমুখ।