Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

সিংগাইরে আওয়ামীলীগ নেতার বাঁধায় থমকে আছে সরকারি রাস্তার কাজ মানিকগঞ্জ

সিংগাইরে আওয়ামীলীগ নেতার বাঁধায় থমকে আছে সরকারি রাস্তার কাজ

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চারিগ্রাম ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন দেলুর (৪৮) বাঁধায় থমকে আছে সরকারি প্রকল্পের দু’টি রাস্তার কাজ। অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন  উপজেলার ওই ইউনিয়নের দাসের হাটি গ্রামের রফিক দেওয়ানের পুত্র ও দু’সন্তানের জনক।

জানা গেছে, ভূমি হস্তান্তর কর ওয়ান পার্সেন্ট (১%) প্রকল্পের তালিকায় রাস্তা দু’টি হচ্ছে উত্তর চারিগ্রাম কুটি মিয়ার বাড়ি হতে তাজুল ইসলামের বাড়ি ও মাওলানা তাজুল ইসলামের বাড়ি থেকে দুলাল বয়াতির বাড়ি পর্যন্ত কাচা রাস্তা নির্মাণ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রকল্প দু’টিতে দেড় লাখ টাকা করে তিন লক্ষ টাকা সরকারি বরাদ্দ দেয়া হয়। ৩ নং ওয়ার্ডের রজ্জব আলী ও ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার আব্দুল হালিমকে সভাপতি করে প্রকল্প দু’টির মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়। এতে স্থানীয় ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দেলু বাঁধা দেন। রাস্তার মাটি ভরাটের কাজটি নিজে করে দেয়ার অজুহাতে মেম্বারদ্বয়ের  নিকট দু’লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন এবং না দিলে তাদেরকে হুমকি-ধামকি ও মারধরের ভয় দেখিয়ে উক্ত রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেন।

এ ঘটনায় ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল হালিম গত ১৬ মার্চ দেলোয়ারের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবীর  অভিযোগে থানায়  মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ওই মামলায় ২৭ দিন হাজতবাস শেষে দেলোয়ার জামিনে এসে আবারো রাস্তার নির্মাণ কাজে বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গত মাসের ২১ এপ্রিল চাঁদাবাজি মামলার বাদী আব্দুল হালিম মেম্বার থানায় আরেকটি সাধারণ ডাইরী করেন। ওই ডাইরীতে মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতিসহ হুমকি-ধামকির  অভিযোগ করা হয়েছে।

সরেজমিন শনিবার (১ মে) দুপুরে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা বন্দীদশায় রয়েছেন। রাস্তাটি তাদের চলাচলের জন্য খুবই জরুরী। কিছু মাটি ফেলা হলেও দেলোয়ারের বাঁধার কারনেই রাস্তার কাজটি বন্ধ রয়েছে। চারিগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ওহাব আলী পোদ্দার, স্থানীয় মুনছের আলী, মতি মিয়া, বাবুসহ উপস্থিত অনেকেই রাস্তার কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করার জোর দাবী জানান।

অভিযুক্ত মো. দেলোয়ার হোসেন দেলু বলেন, আমি রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ চেয়েছিলাম। কোনো চাঁদা দাবী করিনি। তারপরও আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করানো হয়েছে। ওই মামলাটি তুলে না নিলে নির্মাণাধীন রাস্তার অসম্পূর্ন কাজ করতে দিবেন না বলেও তিনি জানান।

চারিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তালুকদার সাজেদুল আলম স্বাধীন বলেন, দেলোয়ার একজন  পেশাদার চাঁদাবাজ। ওর বাঁধার কারনেই সরকারি প্রকল্পের কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি আমি উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও মহোদয়কে জানিয়েছি।

এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুনা লায়লা বলেন, বিষয়টি নিয়ে একটি মামলা হয়েছে বলে আমি জানি। কাজে বাঁধা দেয়ার ব্যাপারটি ইউপি চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে জানিয়েছে। আমি ওসি সাহেবকে দেখার জন্য বলেছি।