Opu Hasnat

আজ ১৭ এপ্রিল বুধবার ২০২৪,

কালকিনিতে গলাকেটে ছেলেকে হত্যা, আদালতে বাবার স্বীকারোক্তি মাদারীপুর

কালকিনিতে গলাকেটে ছেলেকে হত্যা, আদালতে বাবার স্বীকারোক্তি

মাদারীপুরের কালকিনিতে মায়ের পরকীয়ার জেরে ক্ষুদ্ধ হয়ে ১০ বছর বয়সের মাদ্রাসা পড়ুয়া একমাত্র ছেলে রনিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা করেছেন বাবা। বুধবার দুপুরে মাদারীপুর আদালতে এমন স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়েছেন পাষান্ড সেই বাবা তোফাজ্জেল হোসেন। গত ২৫ এপ্রিল রোবরাব রাতে কালকিনি পৌর এলাকায় গোপালপুরে এ ঘটনা ঘটে। 

আদালত সুত্রে জানাগেছে, সম্প্রতি পৌর এলাকার গোপালপুর গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের স্ত্রী মিনারা বেগম গোপনে একই এলাকার চা বিক্রেতা আব্দুর রশিদের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে। এ প্রেমের টানে দেড় মাস আগে মিনারা বেগম তার স্বামী-সন্তানকে বাড়িতে ফেলে রেখে পরকীয়া প্রেমিক রশিদের সাথে চলে যায়। পরে এ নিয়ে তোফাজ্জেলের মনের ভেতর শুরু হয় ক্ষোভ ও মানসিক যন্ত্রনা। এলাকায় লোকলজ্জার ভয়ে মানসির যন্ত্রনা থেকে রেহাই পেতে ছেলে ও নিজেকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করেন তোফাজ্জেল। সেই অনুযায়ী গত রোববার রাত ১০টার দিকে তোফাজ্জেল একাঘরে মেঝেতে বসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছেলে রনিকে গলাকেটে হত্যা করে ফেলে রাখে। পরে সে নিজেও বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এ খবর পেয়ে কালকিনি থানা পুলিশ এসে নিহত রনির মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। পাশাপাশি তোফাজ্জেলকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে সে সুস্থ হলে তাকে মাদারীপুর আদালতে তোলা হয়। এসময় তিনি আদালতে মহামান্য বিচারকের কাছে নিজের হাতে ছেলেকে খুন করেছেন এ জবানবন্দি দেন। পরে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ ব্যাপারে কালকিনি থানা অফিসার ইন র্চাজ (ওসি) ইসতিয়াক আসফাক রাসেল বলেন, নিজ হাতে ছেলে খুনের ঘটনা স্বীকারোক্তি দেয়ার পর আসামী তোফাজ্জেলকে মহামান্য আদালতের নির্দেশে তাকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।