Opu Hasnat

আজ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার ২০২৪,

কঠোর লক ডাউনের প্রভাবে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ

নৌপথে উপচে পড়া ভীর, দৌলতদিয়ায় ট্রাকের দীর্ঘ সাড়ি রাজবাড়ী

নৌপথে উপচে পড়া ভীর, দৌলতদিয়ায় ট্রাকের দীর্ঘ সাড়ি

কঠোর লক ডাউনের প্রভাবে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। সোমবার সকাল থেকে দেশের গুরুত্বপূর্ন নৌরুট দৌলতদিয়া পাটুরিয়ায় উপচে পড়া ভীর দেখা গেছে। প্রতিটি ফেরিতে গাদাগাদি করে কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি না মেনে পার হচ্ছে মানুষ।

সরেজমিনে সোমবার বিকেলে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে গিয়ে দেখাযায়, সেখানে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা খুলনা মহা সড়কের বাংলাদেশ হ্যাচারী পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকায় ৪ শত ও ঘাট থেকে বার কিলোমিটার পিছনে গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় আরো অন্তত ২ শত পন্যবাহি ট্রাক পারের অপেক্ষায় আটকে আছে। ১০ থেকে ১২ ঘন্টা বসে থেকেও ফেরির নাগাল পাচ্ছেন না তারা। এতে করে সময় মতো পন্য পৌছে দিতে না পারায় ও প্রচন্ড গরমে ভোগান্তিতে পরেছে পন্যবাহি এসব ট্রাকের চালকেরা।

এদিকে চলমান লকডাউনের কারনে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় ঢাকা থেকে সব যাত্রিই পার হচ্ছেন ফেরিতে। গন পরিবহন বাস চলাচল বন্ধ থাকায় তারা সিএনজি, মোটর সাইকেল, ব্যাটারি চালিত অটো রিকশাসহ বিভিন্ন উপায়ে ঘাটে পৌছাচ্ছেন। দ্বিগুন ভারাগুনে ভোগান্তি ও করোনার ঝুকি নিয়েই তারা ছুটছেন গন্তব্যে।

সোমবার বিকেলে গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় আটকে থাকা ট্রাকের চালক আছাদুজ্জামান বলেন, গত রবিবার রাত সাড়ে ৮ টার সময়ে গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় বসে আছি। কখনযে ঘাটে পৌছাবো তার জানা নেই। এদিকে গাড়িতে থাকা পেয়াজ সময় মতো ঢাকায় পৌছে দিতে না পারলে ব্যাবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পরবেন বলেও জানান তিনি।

অপর ট্রাক চালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘাটে সারা বছরই ভোগান্তিতে পরতে হয়। সামনে রমজান ও ঈদ এ সময় ঘাটে ভোগান্তিতে পরলে কষ্টের আর শেষ থাকবে না। ঘাট দিয়ে মানুষ যেভাবে পার হচ্ছে তাতে গাড়ি পার করাই কষ্টদায়ক। তার উপর ঘাট থেকে বারো কিলোমিটার দুরে ফাকা একটি রাস্তায় সারা রাত সারা দিন বসে থাকতে হচ্ছে।

ঢাকা থেকে আশা যশোহর জেলার বাসিন্দা ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, ঢাকা শহরে লক ডাউনের কারনে সব কিছু বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জীবনকে বাচাতেই জীবনের তাগিদে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। তবে গন পরিবহন বন্ধ থাকায় ভেঙ্গে ভেঙ্গে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুন বেশি টাকা দিয়ে বাড়ি যেতে হচ্ছে।

ফরিদপুর থেকে ঢাকায় যাওয়া যাত্রি মোঃ সোহেল রানা বলেন, আশুলিয়ার শারমিন গ্রæপের একটি গার্মেন্টেস কাজ করি। গার্মেন্টস বন্ধ হয়নি তাই করোনার ভয় থাকলেও চাকুরী বাচাতে ঢাকায় যেতে হচ্ছে। জীবনের চেয়ে জীবিকার মূল্য বেশি বলেও মনে করছেন তিনি।  

বিআইডব্লউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক ফিরোজ শেখ জানান, লক লাউনের খবরে সবাই যার যার গন্তব্যে যাওয়ার জন্য ছুটছে। যে কারনে নদীর দৌলতদিয়ায় পন্যবাহি ট্রাকের সাড়ি তৈরি হয়েছে। তবে আটকে থাকা ফেরিগুলোকে ১৫ টি ফেরি দিয়ে পারাপার করার চেষ্টা কা হচ্ছে। এছাড়াও লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকার কারনে সাধারন যাত্রি ও এ্যাম্বুলেন্স পার করতেই হিমসিম খেতে হচ্ছে। যে কারনে ঘাট এলাকায় যানজটের তৈরি হচ্ছে।