সালথা থানা ও উপজেলা অফিসে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৮৮ জনের নামে মামলা ফরিদপুর / 
ফরিদপুরের সালথায় লকডাউন চলাকালে ফুকরা বাজারে এ্যাসিল্যান্ডের এক সহকারীর লাঠিপেটার গুজবকে কেন্দ্র করে সালথা থানা ও উপজেলা পরিষদের সরকারী প্রায় সব অফিস ও বাসায় হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ এর ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতরাতে সালথা থানায় এজাহারীয় ৮৮ জনের নাম ও অজ্ঞাত তিন থেকে চার হাজার জনের নাম দিয়ে এই মামলাটি করেন পুলিশের উপপরিদর্শক মোঃ মিজান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জামাল পাশা জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি বলেন এই ঘটনায় আরো মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ পর্যন্ত আট জনকে আটক করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে লকডাউনের প্রথম দিনে সরকারি নির্দেশনা পালন করতে গিয়ে জনতার সঙ্গে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও তার সহকারীদের ভুল বোঝাবুঝি হয়। তর্কে-বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে স্থানীয়রা। এক পর্যায়ে গুজব রটিয়ে উপজেলা পরিষদ, থানা ও উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবনসহ বিভিন্ন অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় ৫৮৮ রাউন্ড শট গানের গুলি, ৩২ রাউন্ড গ্যাস গান, ২২ টি সাউন্ড গ্রেনেড এবং ৭৫ রাউন্ড রাইফেলের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এতে রামকান্তপুর এলাকার জুবায়ের হোসেন(১৮) নামে এক যুবক নিহত হয়। নিহত জুবায়ের উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের আশরাফ আলী মোল্যার ছেলে। এসময় গুলিবৃদ্ধ হয় আরো তিন থেকে চারজন। তাদেরকে ঢাকা ও ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন আমির, মিরান ও মামুন। এলাকার একজন হুজুরকে ধরে নিয়ে গেছে এবং তাকে মেরে মেলেছে এই গুজব রটিয়ে হামলা করা হয়েছে বলে জানাযায়।