Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

আদালতের আদেশ অমান্য করে জোরপূর্বক ভোগ দখলের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন রাজবাড়ী

আদালতের আদেশ অমান্য করে জোরপূর্বক ভোগ দখলের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন

রাজবাড়ীতে আদালতের আদেশ অমান্য করে জোরপূর্বক ভোগ দখলের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর এলাকার একটি ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকার জনগন। বৃহস্পতিবার সকালে রাজবাড়ীর পৌর মার্কেটে ওই সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে বহরপুর এলাকার আশরাফুল আজম মৃধা, বহরপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শুকুর খা, মজিবর রহমান, মঞ্জু বিশ্বাস, রেজাউল বিশ্বাস, নিরা শেখ, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বহরপুর এলাকার বাসিন্দা আশরাফুল আজম মৃধা। লিখিত বক্তব্যে আশরাফুল আজম মৃধা বলেন, মোছা সালমা বেগম, যাহার বাড়ি বালিয়াকান্দি থানার বহরপুর গ্রামে। তিনি দীর্ঘকাল যাবত দুবাই শহরে কাজ কর্ম করিয়া জীবিকা নির্বাহ করেন। কিছু অর্থ সঞ্চিত করিয়া মোছাঃ সালমা বেগম বহরপুর মৌজায় ফিরিয়া আসিয়া প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী জাহানারা বেগমের নিকট হইতে ইং ০৫/০৩/০৬ তারিখে ২৮২.২৫ শতাংশ জমি খরিদ করেন। ছালমা বেগম এবং তাহার স্বামী দীর্ঘকাল দুবাইতে থাকায় এলাকার অধিবাসী এস,এম এ খালেক, মোছাঃ ছালমা বেগম এর স্বামীর বন্ধু হওয়ায় তাহাকে উক্ত সম্পত্তির দেখভাল করাসহ উক্ত সময়ে অপর শরিকগন ভোগ দখলে বিঘœ সৃষ্টি করিলে মোছাঃ ছালমা বেগম বিজ্ঞ বালিয়াকান্দি সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী ৭৭/১১ নং মোকাদ্দর্মা দায়ের করেন। উক্ত মোকাদ্দমার্টি পরিচালনার জন্য তিনি একটি আম মোক্তার দলিল করিয়া দেন। মোছাঃ ছালমা বেগম এর কথিত মতে নালিশী দরখাস্তের বর্ননা মোতাবেক দেখা যায় যে, আসামী এস এম এ খালেক মোকাদ্দমাটি পরিচালনার মোছাঃ ছালমা বেগমের অজ্ঞাতে দেওয়ানী মোকাদ্দমাটিতিনি তুলিয়া লইয়াছেন। 

তাছাড়াও মোছা সালমা বেগমের পিতা কর্তৃক দাখিলকৃত দেওয়ানী ৭৭/১১ নং মোকাদ্দমায় এস এম এ খালেক কর্তৃক ইং ২৮/১১/১২ তারিখে স্বাক্ষরিত একটি দরখাস্তে মামলা মোকাদ্দমা পরিচালনার জন্য মোছাঃ ছালমা বেগম যে ইং ০৪/১১/১২ তারিখে ৩৩৭৭ নং আম মোক্তার দলিল করিয়া দিয়াছিলেন উক্ত দরখাস্তটি তিনি স্বয়ং স্বাক্ষর করিয়া আদালতে দাখিল করেন। তাহাছারাও ইং ০৫/১১/১২ তারিখে মোছা সালমাবেগম এর স্বাক্ষরিত ৭৭/১১দেওয়ানী মোকাদ্দমায় মোছাঃ ছালমা বেগম স্বয়ং যে দরখাস্ত দাখিল করেন তাহাতেও এস এম এ খালেক কে মোকাদ্দামা পরিচালনার জন্য তদ্বিরাদি, জবাদবন্দি প্রদান আপীল রিভিশন মোকাদ্দমা দায়ের বা আমার পক্ষে বা বিপক্ষে মামলা মোকাদ্দমার উদ্ভব হইলে আমার পক্ষে কার্যকারক হিসেবে যাবতীয় কার্যাদি পরিচালনা করিবার জন্য আম মোক্তার নিযুক্ত করেন বলে উল্লেখ আছে। ২৮/১১/১২ তারিখের এস এম এ খালেক কর্তৃক দাখিলকৃত দরখাস্তে হুবুহু মিল রহিয়াছে। মোছাঃ ছালমা বেগম বালিয়াকান্দি থানায় ১৮/০৯/১৯ তারিখে বিষয়টি জানাইলে থানা কর্তৃপক্ষ একটি জিডি লিপিবদ্ধ করেন। যাহার নম্বর ১০৭৯, তাং-১৮/০৯/১৯ ইং। পরবর্তীতে উক্ত জিডির সত্যতা পেয়ে এস এম এ খালেকসহ  অপর কয়েক জনের বিরুদ্ধে বালিয়াকান্দি থানা পুলিশ একটি প্রসিকিউশন রিপোর্ট ইং ০৬/১০/১৯ তারিখে আদালতে প্রেরন করেন যাহা সহকারী পুলিশ সুপার পাংশা সার্কেল অফিসার ইনচার্জ বালিয়াকান্দি থানা কর্তৃক অগ্রগামী করা হয়। যাহার দাখিল কারক এ এস আই মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ। উক্ত তদন্তকারী কর্মকর্তা তাহার প্রকাশ্য ও গোপন তদন্তকালে তিনি জানতে পেরে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন যে ২০১১ সালে বিদেশ যাবার সময় মোছাঃ ছালমা বেগম ১ নং আসামী এস এম এ খালেক ( ৪০ ) পিতাঃ এস এম নায়েব আলী, সাং বহরপুর, থানা বালিয়াকান্দি, জেলা রাজবাড়ী এর নিকট লিখিতভাবে পাওয়ার অব এ্যাটার্নি করে উক্ত জমি দেখাশোনা করার জন্য দিয়া যায়। উক্ত ১ নং আসামী অর্থ্যাৎ এস এম এ খালেক উক্ত ক্ষমতার অপব্যাবহার করে বাদীনির উক্ত জমির কিছু তাহার পিতা ও ভাইদের নামে লিখিয়া দেয়। বাদিনী দুবাই থেকে বাড়িতে আসিয়া বিষয়টি জানিতে পারে। সুতরাং আসামী এস এম এখালে যে বিশ্বাস ভঙ্গও প্রতারনার আশ্রয় গ্রহন করিয়া বাদীনিকে ক্ষতিগ্রস্থ্য করেন তাহা আমার তদন্তে প্রকাশ পায়। বাদিনী ছালমা বেগম তাহার নীজ অর্থে জমিটি খরিদ করেন এবং এবং একজন আইনজীবি দ্বারা খসড়া ড্রাফট আসামী ও বাদিনী একত্রে করিয়া আনিলেও উক্ত ড্রাফটটির পরিবর্তে দলিল লেখকের সহিত যোগ সাজস করিয়া আসামী এস এম এ খালেক বাদীনির সরলতার ও অজ্ঞাতসারে মনগড়া একটি আম মোক্তার নামা সম্পাদক ও রেজিস্ট্রী করিয়া লইতে সক্ষম হন। বাদিনী দুবাই হইতে সর্বশেষ ফিরিয়া আসিবার পর স্বাক্ষীদের নিকট হইতে জানিতে পারেন যে আসামী এস এম এ খালেক উক্ত পাওয়ার অব এ্যাটানির্ দ্বারা বিভিন্ন ব্যাক্তির নিকট হস্তান্তর করিয়া আবার পুনরায় তাহাদের নিকট হইতে নিজনামে হস্তান্তর দলিল করিয়া লইয়াছেন যাহা হইতে প্রমানিত হয় যে আসামী এস এম এ খালেক উক্ত পাওয়ার অব এ্যাটার্নি টি প্রকৃত অর্থে প্রতারনা পূর্বক বিশ্বাস ভঙ্গ করিয়া হাসিল করিয়া বর্নিত ধারায় অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়।বাদিনী ২০১৯ সালের সেপ্টেমর মাসে দেশে আসিয়াইং ০৪/১১/১২ তারিখের ৩৩৭৭ নং পাওয়ার অব এ্যাটনীদলিল রদ ও রহিতের প্রার্থনায় ইং ১২/০৯/১০ তারিখে বিজ্ঞ বালিয়াকান্দি সহকারী জজ আদালতে মোকাদ্দমা দায়ের করেন। যাহার দেওয়ানী ৪৮/১৯।তাহা ছাড়াও সাব রেজিস্টার, বালিয়াকান্দি, সহকারী কমিশনার ভুমি বালিয়াকান্দিদেরকে ইং ২৩/০৯/১৯ তারিখে লিগ্যাল নোটিশ দ্বারা সার্বিক প্রতারনার বিষয়টি সম্পর্কে এবং পাওয়ার বাতিলের মামলা সম্পর্কেও অবগত করেন এবং ডাচ বাংলা ব্যাক লিমিটেড রাজবাড়ী শাখার ম্যানেজারকেও সার্বিক প্রতারনার বিষয়টি এবং পাওয়ার বাতিলের মামলা সম্পর্কে অবগত করান। বাদিনী মামলার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ বালিয়াকান্দি সহকারী জজ আদালত উক্ত দেওয়ানী ৪৮/১৯ মামলায় বিবাদী এস এম এ খালেক এবং সাব রেজিস্ট্রার বালিয়াকান্দি এর উপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন যেন কোন ধরনের কার্যক্রম উক্ত পাওয়ার অব এ্যাটনীর মূলে করা না হয় কিন্তুু সচুতুর এবং প্রতারক এস এম এ খালেক আদালতের  নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মামলার জমিতে পাকা কনস্ট্রাকশনের কাজ শুরু করেছেন এবং করে চলেছেন। এস এম এ খালেক এর পাওয়ার অব এ্যাটর্নী নিয়ে এই প্রতারনার প্রেক্ষিতে ছালমা বেগম বাজবাড়ী বিজ্ঞ ১ নং আমলী আদালতে একটি প্রতারনার মামলা ও দায়ের করেছেন যাহা তদন্তাধীন যাহার নম্বর মিস পিটিশন ২৪৬/১৯। 

এছাড়াও উক্ত বিবাদী এস এম এখালেক বহরপুর নিবাসী আশরাফুল আজম মৃধাদের সহিত দেওয়ানী ৪৭/১৩ নং মোকাদ্দমা যাহা রাজবাড়ী বিজ্ঞ যুগ্ন জেলা জজ ২ য় আদালতে বিচারাধীন থাকাকালীন সময়ে উক্ত ছালমা বেগম কর্তৃক প্রদানকৃত পাওয়ার অব এ্যাটর্নী মুলে উক্ত জমি বিভিন্ন জনের কাছে কিভাবে বিক্রয় করেন যাহা সম্পূর্ন আদালত অবমানননার সামিল। কারন আদালতে কোন নালিশী বিষয়বস্তুু বিচারাধীন থাকাকালিন সময়ে কোন ভাবেই তা হস্তান্তরের সুযোগ নেই। এসব ছাড়াও উক্ত এসএমএ খালেক এর বিরুদ্ধে বহরপুর নিবাসী জনগন বিভিন্নভাবে প্রতিনিয়ত প্রতারনা হয়ে আসছে। তিনি নীজেকে বহরপুরের মানুষের কাছে নিজেকে কখনো সচিব, কখনো সচিবের পি, কখনো মন্তও্রনালয়ের বা সচিবালয়ের বড় পদে চাকরী করেন বলে প্রতারিত করেন এবং বিভিন্ন ব্যাক্তির কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এস এম এ খালেক।এই এস এম এ খালেকের বিরুদ্ধে এসব ছারাও আদালতে আরো বহুবিধ মামলা মোকাদ্দমা রহিয়াছে। বহরপুরের জনগনসহ এই ছালমা বেগম এবং আশরাফুল আজম মৃধাদেরকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে এই এস এম এ খালেক ক্রমাগত হুমকী ধামকি প্রদান করিয়া আসিতেছে। যাহার বিচার দাবীতে তাহারা বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিট্রেট আদালতে ১০৭ ধারার মোকাদ্দমাও দায়ের করেছেন। এই প্রতারক এস এম এ খালেক ছালমা বেগম এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন হয়রানী মূলক মামলা নিজে এবং ভিন্ন ব্যাক্তিদের দিয়ে দায়ের করিলেও আদালত তাহা খারিজ করিয়া দিয়াছেন। উক্ত সুচতুর প্রতারক এস এম এ খালেক এর বিচারের দাবীতে বহরপুরের এলাকাবাসী আজ সোচ্চার। আমরা বহরপুরবাসি এবং বহরপুরের সাধারন জনগন এই এসএস এ খালেকের বিচারের দাবীতে এবং আদালতের আদেশ অবমাননা করে জমিজমাদখল এর প্রতিবাদে আজকের এই প্রেস বিফিং এর মাধ্যমে প্রিয় সাংবাদিক ভাইদেরকে বিষয়টি অবগত করিলাম। ধন্যবাদান্তে-বহরপুরনিবাসী সাধারন জনগন।