Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

ফিতা কেটে ডিজিটাল সেন্টারের উদ্বোধন করলেন চসিক মেয়র চট্টগ্রাম

ফিতা কেটে ডিজিটাল সেন্টারের উদ্বোধন করলেন চসিক মেয়র

রোববার থেকে নগরীর পাথরঘাটা ওয়ার্ডে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)’র ডিজিটাল সেবা শুরু হয়েছে । চসিক ৩৪নং পাথরঘাটা ওয়ার্ডস্থ ইকবাল রোডে অবস্থিত নগর স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র-এ স্থাপিত এই অনলাইন সেবা কেন্দ্র রবিবার দুপুরে উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোশেনের মেয়র আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন। সিটি কর্পোরেশনের সেবাছাড়াও এই ডিজিটাল কেন্দ্রে  এলাকাবাসী ২০ ধরণের সেবা পাবেন।  প্রদত্ত সেবাসমূহের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন সনদের আবেদন, অন লাইনে পাসপোটের আবেদন, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট, হজ্বযাত্রীদের প্রাক নিবন্ধন, ওয়ারিশ ও মৃত্যু সনদের আবেদন, চারিত্রিক ও আয়ের সনদ, হারানো/পুরানো ভোটার তথ্য, স্ট্যাম্প বিক্রয়, কম্পিউটার প্রশিক্ষন, কম্পিউটার কম্পোজ, প্রিন্ট, স্ক্যানিং, ই-মেইল, ফটোকপি, লেমিনেটিং, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ডিজিটাল স্টুডিও সেবা ছবি তোলা ও ছবি থেকে ছবি, ডিজিটাল প্রিন্টিং সেবা, বিভিন্ন প্রত্যয়ন পত্রের আবেদন, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, মোবাইল ব্যাংকিং, ই-টিকেটিং সেবা ও এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা ইত্যাদি রয়েছে। 

উদ্বোধনী বক্তব্যে সিটি মেয়র আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন বলেছেন, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিন বদলের সনদ হিসেবে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর ঘোষণা দিয়েছিলেন। প্রথমদিকে কেউ কেউ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়টিকে ঠিকমতো বিশ্বাস করেনি, বরং কারো কারো মনে এটি নিয়ে সন্দেহ ও সংশয় সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম বিষয়টিকে আস্থার সঙ্গে নিয়ে এ ঘোষণার প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন ব্যক্ত করেছিল। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়টি উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া নয়, বরং তৃণমূল থেকে উঠে আসা একটি বিষয়। এর ফলেই ডিজিটাল বাংলাদেশ যে একটি মিথ্যা নয়, তা-ই এর মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। 

সিটি মেয়র আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ আন্দোলনের দৃশ্যমান রুপ নগর, গ্রামে গঞ্জে ডিজিটাল সেন্টার  স্থাপন। বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরীতে ১৯ টি ওয়ার্ডে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। অবশিষ্ট ২২টি ওয়ার্ডে  এই ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করে স্থানীয় সরকারের পরিপত্র পালন করা হবে।

এই প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, বর্তমান সরকারে এ-টু-আই প্রজেক্টের আওতায় নগরীতে প্রায় ২শত এর অধিক ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এসব ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে নগরবাসী পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠির কাছে ডিজিটাল সেবা নিয়ে যেতে বর্তমান সরকারই সদিচ্ছার কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন ২০১০ সালে সাড়ে ৪ হাজার  ইউনিয়ন এ তথ্য ও সেবাকেন্দ্র  চালু করে। পরবর্তীতে এই সেবা কেন্দ্র ডিজিটাল সেন্টার নামে অভিহিত করা হয়। বর্তমানে দেশে ৫ হাজারের অধিক ডিজিটাল সেবাকেন্দ্র রয়েছে। এই সব সেবাকেন্দ্র থেকে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠি কম্পিউটার কম্পোজ থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন বিদ্যালয়-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য, ভর্তি ফরম পূরণ, জন্ম নিবন্ধন, বিমা, মোবাইল ব্যাংকিং , বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ, ডাক্তারি পরামর্শসহ দৈনন্দিন ৬০ ধরনের সেবা পাচ্ছে বলে মেয়র উল্লেখ করেন। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় কাউন্সিলর ইসমাইল বালির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, রাজনীতিক দেবাশীষ গুহ বুলবুল, এড জিয়া উদ্দিন জিয়া, আফছার উদ্দিন, ফজলে আজিজ বাবুল, আনিসুর রহমান, আশফাক আহমেদ ও কায়সার আকতার তাহিন ।