কোমেন আঘাত হেনেছে, দুর্বল হয়ে অতিক্রম করছে সন্দ্বীপ ও নোয়াখালী জাতীয় /  চট্টগ্রাম /  বরিশাল /  বাগেরহাট /  সাতক্ষীরা /  ভোলা /  ঝালকাঠি /  পটুয়াখালী /  পিরোজপুর /  চাঁদপুর /  কক্সবাজার /  ফেনী /  লক্ষ্মীপুর /  নোয়াখালী / 
উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’ কিছুটা দুর্বল হয়ে সন্দ্বীপ দিয়ে চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করেছ। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা পর ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে বলে আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ বুলেটিনে জানোনো হয়ে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার।
সকাল ৬টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল ঘূর্ণিঝড় কোমেন। বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানার কথা থাকলে রাত ৯টার কিছু পরই চট্টগ্রাম উপকূলে আঁছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়টি।
সন্ধ্যা ৬টায় সর্বশেষ আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরের জন্য ৭ নম্বর বিপদ সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা ও এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোও ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
অপরদিকে মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া বিভাগ। উপকূলীয় জেলা বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠী, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা ও এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোও ৫ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
কক্সবাজার বিমান বন্দরে উঠানামা সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরেও পণ্য খালাস সীমিত রাখা হয়েছে। বন্দরে তিন নম্বর এলার্ট জারি করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচলও পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার এবং সমুদ্রগামী জাহাজগুলোকে বলা হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে।
বৃহস্পতিবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. শাহ আলম জানান, ঘূর্ণিঝড়টি রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাতিয়া-সন্দ্বীপের উপর দিয়ে চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। যেহেতু দুর্বল অবস্থায় রয়েছে, তাই উপকূল পার হতে তিন/চার ঘণ্টা লাগবে। ঘূর্ণিঝড় কোমেন বৃহস্পতিবার মধ্যরাত নাগাদ চট্টগ্রাম উপকূল দিয়ে স্থলভাগে উঠে আসবে। ঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় বেশ ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে। উপকূল অতিক্রমের সময় বাতাসের বেগ ৬০-৭০ কিলোমিটার থাকবে বলে জানান তিনি।